গাভীর ওলানপ্রদাহ শনাক্তে মলিকুলার কিট উদ্ভাবনে গাকৃবিতে কর্মশালা

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) গাভীর ওলানপ্রদাহ (বোভাইন মাসটাইটিস) রোগের টেকসই ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এতে গাভীর রোগ শনাক্তে মলিকুলার ডায়াগনস্টিক কিট ও বিকল্প প্রোবায়োটিক থেরাপি উদ্ভাবনের উদ্যোগ তুলে ধরা হয়, যা বাংলাদেশের দুগ্ধশিল্পে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মত দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩
শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটোরিয়ামে কর্মশালার আয়োজন করে গাইনিকোলজি, অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ বিভাগ। এটি অনুষ্ঠিত হয় উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের Higher Education Acceleration and Transformation (HEAT) প্রকল্পের অর্থায়নে নেওয়া উপ-প্রকল্প
বিজ্ঞাপন
“Development of an On-site Molecular Diagnostic Kit and Probiotic-based Therapeutic Product for Sustainable Management of Bovine Mastitis”-এর উদ্বোধন উপলক্ষে।
উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন হিট প্রকল্পের এটিএফ ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট প্রফেসর ড. মো. মোজাহার আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ।
মূল আলোচনায় অংশ নেন প্রাণিসম্পদ খাতের দুই বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ— বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মোশারফ উদ্দিন ভূঁইয়া ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ. এম. এ. এম. জুনায়েদ সিদ্দিকী।
বিজ্ঞাপন
বিশেষজ্ঞরা জানান, উদ্ভাবনাধীন মলিকুলার কিট খামারি পর্যায়েই তাৎক্ষণিকভাবে গাভীর রোগ শনাক্তে সক্ষম হবে, ফলে ল্যাবনির্ভর প্রক্রিয়ার জটিলতা ও সময় কমবে। পাশাপাশি প্রোবায়োটিক-ভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থা অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার হ্রাস করে দুগ্ধশিল্পকে আরও নিরাপদ ও টেকসই করবে।
প্রধান অতিথি প্রফেসর মোজাহার আলী বলেন, ‘দেশের প্রায় ১,৫০০ উপ-প্রকল্পের মধ্যে গাভীর ওলানপ্রদাহ বিষয়ক এই প্রকল্পের অনুমোদনই প্রমাণ করে এর সময়োপযোগিতা ও বাস্তবভিত্তিকতা।’
বিজ্ঞাপন
সমাপনী বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এই মলিকুলার কিট ও প্রোবায়োটিক থেরাপি বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। দ্রুত রোগ শনাক্তকরণ ও কার্যকর চিকিৎসা নিশ্চিত হবে, যা দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
দিনব্যাপী আয়োজিত কর্মশালায় প্রায় ৮০ জন শিক্ষক, গবেষক, উদ্যোক্তা ও শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রাণবন্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে কর্মশালার সমাপ্তি ঘটে।








