‘সোশ্যাল মিডিয়ায় আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, বাস্তবে তেমন কিছু নয়’

রাজনৈতিক কর্মসূচির তীব্রতা সম্প্রতি কিছুটা বেড়েছে বলে স্বীকার করলেও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত অনেক কর্মসূচি বাস্তবে ঘটছে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় যেসব ঝটিকা মিছিল বা বিক্ষোভের ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে, বাস্তবে তেমন কোনো ঘটনা ঘটছে না। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।”
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ডিএমপি ও জাইকার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘রোড সেফটি সেমিনার’ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ডিএমপি কমিশনার জানান, গত ১৭ বছরে দেশে বড় কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়নি। এ সময়ের মধ্যে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত দুই লাখ সদস্যের প্রায় অর্ধেকই নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত। তাদের অনেকেই এখনো কোনো নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেননি বা নিজেরাও ভোট দেননি।
আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, “আমাদের অনেক সদস্য জানেন না নির্বাচনে দায়িত্ব কীভাবে পালন করতে হয়। তাই সারাদেশে ট্রেনিং কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। আমি সবাইকে বলেছি, নির্বাচনের সময় শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই একটি বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। তবে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা একটি দল এবার অংশ নিতে না পেরে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করতে পারে। আমরা সতর্ক আছি, যেন কোনো রাষ্ট্রবিরোধী বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না ঘটে।”
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “একটি দল বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত। তারা ককটেল বিস্ফোরণ বা নাশকতার চেষ্টা করছে, তবে পুলিশ সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।”
সাজ্জাত আলী আরও যোগ করেন, “অনেকে নাইট কোচে আসে, ব্যানার দেখিয়ে কয়েক মিনিটের জন্য ভিডিও তুলে ফেসবুকে আপলোড করে। এতে মনে হয় বড় মিছিল হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে সেটা কয়েকজনের প্রদর্শনী মাত্র। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব অস্বীকার করা যায় না, তবে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”
বিজ্ঞাপন
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নভেম্বরের শেষ দিকে দেশে একটি ‘চমৎকার নির্বাচনী পরিবেশ’ গড়ে উঠবে। এখন সবাই নির্বাচনমুখী। জনগণ ভোট দিতে চায়। দুঃখের বিষয়, ৩৫-৪০ বছর বয়সী অনেক মানুষও জীবনে কখনো ভোট দিতে পারেনি।
শেষে তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতা বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।”