সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ফের ১৪ ডিসেম্বর

বুধবার ট্রাইব্যুনাল–১–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্যানেল এ আদেশ দেন। সঙ্গে ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

দুপুর পৌনে ১২টা থেকে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম টিএফআই সেলে গুম হওয়া ব্যক্তিদের বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা এবং দীর্ঘ বছরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ১৬ বছরের অন্ধকার অধ্যায় পেরিয়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এক নতুন বাংলাদেশ সামনে এসেছে।

আরও পড়ুন: গুম-খুনের মামলা / এই বিচার দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়: চিফ প্রসিকিউটর

গুম হওয়া ব্যক্তিদের ভাগ্য সম্পর্কে তিনি উল্লেখ করেন— ভাগ্য ভালো হলে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হতো, অন্যথায় বহু বছর গুম রেখে অজানা স্থানে ফেলে দেওয়া হতো।

তিনি আরও দাবি করেন, কিছু ক্ষেত্রে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ভুক্তভোগীরা।

এর আগে সকাল ১০টার পর সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জেল-প্রিজন ভ্যানে করে গ্রেপ্তার ১০ সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে আনা হয়।

তারা হলেন— ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, কর্নেল কেএম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (ওএসএল), কর্নেল মো. মশিউর রহমান (সাবেক পরিচালক, র‍্যাব গোয়েন্দা শাখা), লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম।

আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনালে ক্ষমা চাইলেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান

এই মামলায় পলাতক আছেন আরও ৭ জন। তারা হচ্ছেন— সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ এবং সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. খায়রুল ইসলাম।

এ অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২৩ নভেম্বর আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল। সেই সময় ১০ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়। এরপরই নতুন শুনানির তারিখ হিসেবে ১৪ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হলো।