অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফিরেছেন যারা


Janobani

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ: ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, ৮ই জুলাই ২০২৩


অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফিরেছেন যারা
ছবি: সংগৃহীত

শুধু তামিম ইকবাল নন, ক্রীড়াঙ্গনে অবসর ভেঙে ফেরার উদাহরণ রয়েছে অজস্র। ক্রিকেটে যার প্রথম নজিরটি অস্ট্রেলিয়ার বব সিম্পসনের এবং শেষটি তামিম ইকবালের।


ইমরান খান: ১৯৭১ সালে অভিষেক হওয়া ইমরান খান ১৯৮৭ বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের অনুরোধে ক্রিকেটে ফিরেন ইমরান খান। এরপর ১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে ক্রিকেট ছাড়েন তিনি।


জাভেদ মিয়াঁদাদ: ১৯৯৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। কিন্তু  ১৯৯৬ বিশ্বকাপের আগ দিয়ে ফেরার ঘোষণা দেন  পাকিস্তানের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটার। তাকে অনুরোধ করেছিলেন তখনকার পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর অনুরোধে। যদিও বিশ্বকাপে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি জাভেদ। তিন ম্যাচে করেছিলেন কেবল ৫৪ রান। তবে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টানা ছয়টি বিশ্বকাপ খেলার কীর্তি গড়েছেন তিনি। ফেরার ১০ দিন পর তাই নিয়ে নেন চূড়ান্ত অবসর। 


আরও পড়ুন: অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার যৌক্তিকতা মাঠে প্রমাণ করা তামিমের দায়িত্ব: মাশরাফি


কার্ল হুপার: ১৯৯৯ বিশ্বকাপের মাত্র তিন সপ্তাহ আগে ফর্মের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় অবসরের ঘোষণা দিয়ে পুরো ক্রিকেট বিশ্বে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার কার্ল হুপার। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ২০০১ সালে ক্রিকেটে ফেরেন তিনি এবং ২০০৩ বিশ্বকাপে উইন্ডিজকে নেতৃত্বও দেন।


গ্রান্ট ফ্লাওয়ার: ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে বোর্ড হিথ স্ট্রিককে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দিলে দলটির বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার অবসরের হুমকি দিয়েছিলেন। তাদের হুমকিতেও স্ট্রিককে পুনর্বহাল করা না হলে গ্রান্ট ফ্লাওয়ারসহ জিম্বাবুয়ের ১৩ জন ক্রিকেটার অবসর নিয়েছিলেন। তবে ছয় বছর পর ২০১০ সালে সবাইকে অবাক করে দিয়ে আবার জাতীয় দলে ফিরেছিলেন গ্রান্ট ফ্লাওয়ার। তবে ফর্ম না থাকায় ওই বছরই আবার অবসরে চলে যান তিনি।


কেভিন পিটারসেন: ইংলিশ সাবেক অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন ২০১১ সালে অবসর নেন সাদা বলের ক্রিকেট থেকে। উদ্দেশ্য টেস্টে আরো ভালো করা। এই ঘোষণার কিছুদিন পরই তিন ফরম্যাটে ফিরে আসেন পিটারসেন।


আরও পড়ুন: আমাদের অধিনায়ক যদি না থাকে তাহলে খেলবো কীভাবে: পাপন


শহীদ আফ্রিদি: প্রায় ২২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে পাঁচবার অবসর ভেঙে ফিরেছেন শহীদ আফ্রিদি। প্রথম অবসর নেন তিনি টেস্ট থেকে ২০০৬ সালে। দুই সপ্তাহের মধ্যেই ফিরে আসেন। ২০১০ সালে অধিনায়ক হিসেবে একটি টেস্ট খেলে এ ফরম্যাটকে বিদায় জানান তিনি। এরপর ২০১১ বিশ্বকাপের পর কোচ ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গে দ্বন্দ্বে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে ছিলেন। পাঁচ মাস পর আবার ফিরে আসেন। এরপর ২০১২ সালে ওয়ানডেকে বিদায় জানিয়ে আবার ফিরে আসেন এবং ২০১৫ বিশ্বকাপের আবার ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। এরপর ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে পাকাপাকিভাবে অবসর নেন তিনি।      


তামিম ইকবাল: গত ৬ জুলাই অভিমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে অবসরের পরদিনই প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে ক্রিকেটে ফেরেন তিনি।


জেবি/এসবি