জিআই সনদ পেল নাটোরের কাঁচাগোল্লা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, ১০ই আগস্ট ২০২৩


জিআই সনদ পেল নাটোরের কাঁচাগোল্লা
কাঁচাগোল্লা

দেশের ১৭তম জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছেন নাটোরের কাঁচাগোল্লা।


মঙ্গলবার  ৮ আগস্ট) শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্ক অধিদফতরে রের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরে কাঁচাগোল্লার জিআই স্বীকৃতি অনুমোদন নাটোর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে পাঠানো হয়।


জানা গেছে, কাঁচাগোল্লার জিআই নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন নাটোরের সাবেক ও রাজশাহীর বর্তমান জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। গেল ৩০ মার্চ অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতরের (ডিপিডিটি) মাধ্যমে নাটোরের কাঁচাগোল্লার জিআই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।


চার পুরুষ ধরে মিষ্টি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নাটোরের ঐতিহ্যবাহী জয় কালী মিষ্টান্ন ভান্ডার। জিআই স্বীকৃতির ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এই দোকানের বর্তমান স্বত্বাধিকারী প্রভাত কুমার পাল জানান, “জিআই আবেদন অনেক আগেই করা দরকার ছিল। কেননা বিভিন্ন রকমের মানহীন মিষ্টি কাঁচাগোল্লা নামে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়। তাতে নাটোরের কাঁচাগোল্লার সুনাম নষ্ট হয়। এখন জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বিকৃত আকারে উৎপাদন বন্ধ হবে। দেশের মানুষ আসল কাঁচাগোল্লা চিনে কিনতে পারবে।”


আরও পড়ুন: নাটোরে যুবলীগ নেতার কব্জি কাটলো প্রতিপক্ষ


নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী বলেন, “কাঁচাগোল্লা জিআই তালিকাভুক্ত হলো। এর মধ্য দিয়ে নাটোরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি দেশ-বিদেশে কাঁচাগোল্লার ব্র্যান্ডিং ও চাহিদা বাড়বে। এ সংক্রান্ত যেকোনো উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ পাশে থাকবে।”



এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোরের সাবেক জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, “নাটোরের কাঁচাগোল্লার ইতিহাস সমৃদ্ধ হওয়ায় নাটোর থেকে বিদায়ের আগে জিআই নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করি। অবশেষে জিআই স্বীকৃতি এল। নাটোরের এই ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্নের স্বীকৃতি আদায়ে ভূমিকা রাখায় আনন্দিত বোধ করছি”।


আরও পড়ুন: নাটোরে ৭দিন ব্যাপী বৃক্ষমেলা শুরু


নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঞা বলেন, “নাটোরের ঐতিহ্য ধরে রেখে উৎপাদকেরা কাঁচাগোল্লা প্রস্তুত করেন। কিন্তু বাইরে বিকৃত আকারে কাঁচাগোল্লা বিক্রি হয় বলে বিভিন্ন সময় শোনা যায়। জেলা প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই বিকৃতি রোধ করা হবে।”


জেবি/এসবি