ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় ‘ধাক্কা’ খেলেন নুসরাত জাহান

ওপার বাংলার অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় আদালতের নির্দেশে অনেকটা ‘ধাক্কা’ খেলেন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) আলিপুর আদালতের বিচারক আদেশ দেন মামলার শুনানির প্রয়োজনে কয়েকদিন নুসরাতকে হাজিরা দিতেই হবে।

এর আগে আলিপুর আদালতে নুসরাতের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়, তিনি সশরীরে হাজির হতে পারবেন না, তার আইনজীবীর মাধ্যমে সব কাগজপত্র পাঠাবেন। আর তা যেন গ্রহণ করে আদালত। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়েছে। এরপর এই অভিনেত্রী আলিপুর জজ কোর্টের দ্বারস্থ হন। তাতেও কেনো প্রকার লাভ হয়নি। আলিপুর জজ কোর্টের বিচারক জানান, শুনানির শুরুর দিকে তাকে কয়েকদিন আদালতে উপস্থিত থাকতেই হবে। যদিও এ নির্দেশ নিয়ে এখনো নুসরতের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন: মালদ্বীপে ভারতীয় সিনেমার শুটিংয়ে নিষেধাজ্ঞা

নুসরাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ২০১৪ সালে ‘সেভেন্থ সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থার ডিরেক্টর থাকাকালে কর্মীদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে টাকা নেন নুসরাত জাহান। তার হিসাব দেননি তিনি। সেই টাকা নয়ছয় করেছেন বলে অভিযোগ শোনা যায়।

গত বছর গড়িয়াহাট থানায় নুসরাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতিশ্রুতি পাওয়া সেসব ব্যক্তিরা। এরপর বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার নেতৃত্বে তারা সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে ইডি দপ্তরে নুসরাতের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন।

আরও পড়ুন: কনকনে শীতেও বিকিনিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এই অভিনেত্রী

বসিরহাটের এই সংসদ সদস্য পরদিন কলকাতা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সেসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। নুসরাত দাবি করে বলেন, তিনি যে টাকা নিয়েছিলেন, তা সুদসহ ইতোমধ্যে ফেরত দিয়েছেন। এ ছাড়া ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদে খুব কম সময়ের জন্য দ্বায়িত্বে ছিলেন এই অভিনেত্রী। তাতে অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। আর সেই মামলায় এবার আলিপুর জজ কোর্টে ‘ধাক্কা’ খেতে হলো তাকে।

এমএল/