রঙিন ফুলকপি চাষে রঙিন কৃষক
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮:৫১ অপরাহ্ন, ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বাগেরহাটের ফকিরহাটে প্রথমবারের মতো রঙিন জাতের ফুলকপি চাষে সফল হয়েছেন শ্যামল পাল নামে এক কৃষক। রঙ বেরঙের বাহারী ফুলকপি উচ্চমূল্যে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন এই কৃষক, পাশাপাশি এটি চাষে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় চাষিদের মধ্যে। চাষি শ্যামল পাল উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের মাসকাটা গ্রামে ৫০ শতক জমিতে হলুদ, সাদা ও বেগুনী রঙের ফুলকপি চাষ করেছেন।
স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) এর আওতায় চাষকৃত রঙিন জাতের এই ফুলকপিগুলো পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং দাম সাধারণ জাতের ফুলকপির চেয়ে তিনগুণ বেশি। কৃষক শ্যামল পাল জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় তিনি ৫০ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করেন। সাধারণ সাদা জাতের ফুলকপি বাজারে প্রতি পিস ২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও তিনি এই ফুলকপি প্রতি পিস প্রায় ৬০ টাকা দামে বিক্রি করছেন।
আরও পড়ুন: কচু চাষ করে বেশি আয় করার চ্যালেঞ্জ মাসুমের
নতুন জাত ও দাম বেশি হওয়ায় আগামী মৌসুমে তিনি আরো বেশি জমিতে এই ফুলকপি চাষ করবেন বলে জানান। স্থানীয় কৃষাণি সুনন্দা দাস সহ কয়েকজন কৃষক জানান, সাধারণ জাতের মতোই রঙিন ফুলকপির ফলন ভালো হয়েছে। ভালো চাহিদা ও উচ্চমূল্য হওয়ায় বেশি লাভ পাওয়া যায়। তা দেখে তারা উৎসাহিত হয়েছেন। তাই আগামীতে তারা এই জাতের ফুলকপি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হেসেন বলেন, “এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে এটি চাষ করা হয়েছে। কৃষক শ্যামল পালকে আমরা রঙিন ফুলকপির বীজ, জৈব সার ও ফেরোমন ফাঁদ দিয়েছিলাম। উৎপাদন ভালো হওয়ায় উপজেলার অন্য কৃষকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। রঙিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ ও বাজারমূল্য অনেক বেশি। খেতেও সুস্বাদু। আশা করছি আগামীতে উপজেলায় রঙিন জাতের ফুলকপির চাষ আরো বাড়বে।”
আরও পড়ুন: আমের মুকুল রক্ষায় যা করতে হবে
ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় কৃষকেরা নিরাপদ ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন নতুন নতুন সবজি উৎপাদন করছেন। কৃষি বিভাগের সহায়তায় বাজার লিংকেজ করে দেওয়ায় চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছেন।
এমএল/