স্বাগতিক চট্টগ্রামকে হারিয়ে কুমিল্লার বড় জয়


Janobani

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, ১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪


স্বাগতিক চট্টগ্রামকে হারিয়ে কুমিল্লার বড় জয়
ছবি: সংগৃহীত

চলমান বিপিএলে স্কোর বড় না হওয়ায় টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার নিয়ম মুখস্ত হয়ে দাঁড়িয়েছিল যেন। তবে চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচেও এই নিয়মকে অনুসরণ করে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় শুভাগত হোম। এই সিদ্ধান্তই যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে বন্দরনগরীর দলটির জন্য। লিটন-ইমরুলরা প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামকে রান বন্যায় ভাসায়। সেই সাথে ৭৩ রানের বড় জয়পায় কুমিল্লা।


মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামকে পাহাড় সামন ২৪০ রানের লক্ষ্য দেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬৬ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। ফলে ৭৩ রানের বড় ব্যাবধানে হারতে হয় তাদেরকে।


বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার জশ ব্রাউন ও তানজিদ হাসান তামিম। দুজনের দারুন ব্যাটিংয়ে ৭ ওভার শেষে দলের স্কোরবোর্ডে ৮০ রান তোলে। তবে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণ করতে পারেনি ওপেনারের কেউই।


আরও পড়ুন: আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান আমি জানিই না: সুজন


২৪ বলে ৪১ রান করেন তানজিদ হাসান তামিম ফিরে গেলে ২৩ বলে ৩৬ রান করে তার দেখানো পথেই হাঁটেন জশ ব্রাউন। এদিন ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি টম ব্রুসও। ৭ বলে ১১ রান করে রিশাদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কাঁটা পড়নে এই ডান হাতি ব্যাটার।


৮ বল খেলে ১২ রান করে শাহাদত হোসেন ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেও ব্যাট চালাতে থাকেন সৈকত আলী। ১১ বলে ৩৬ রান করে সৈকত ফিরে গেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় চট্টগ্রাম। ১৩ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক শুভাগত হোম।


এরপর শুরু হয় চট্টগ্রামের ব্যাটারদের আশা যাওয়া। কার্টিন ক্যাম্ফার (৫), শহিদুল ইসলাম (২), আল আমিন (০) এবং বিলাল খান ডাক আউট হলে ২১ বলে হাতে থাকতেই ১৬৬ রানে অলআউট হয়ে যায় চট্টগ্রাম। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৭৩ রানের বড় জয় পায়। ইংলিশ অলরাউন্ডার করেন মঈন আলী ১৬তম ওভারে পরপর তিন বলে তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে চলতি বিপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক করেন।


আরও পড়ুন: আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ালেন সাকিব


এদিন কুমিল্লার হয়ে রিশাদ হোসেন ও মঈন আলী চারটি করে উইকেট তুলে নেন। এ ছাড়াও দুইটি উইকেটের দেখাপান মোস্তাফিজুর রহমান।


এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে ৬২ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস ও উইল জ্যাকস। দলীয় ৮৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় লিটন দাসের দল। ২৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করা লিটন ফেরেন ব্যক্তিগত ৬০ রান করে। লিটনের পরই হৃদয়ও কাঁটা পড়েন লেগবিফোরের ফাঁদে, এরপর ব্রুক গেস্টও দ্রুতই সাজঘরের পথ ধরেন। ফেরার আগে ১১ বলে করেন মাত্র ১০ রান। তবে দলীয় রানের স্কোরবোর্ডে উইকেটের আঁচ লাগতে দেননি জ্যাকস। প্রতিপক্ষের ওপর বেশ চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন ইংলিশ এই ওপেনার। তাকে যোগ সঙ্গ দেন আরেক ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলিও।


এরপর ৫০ বলে এই ফরম্যাটে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকান ব্যাটার জ্যাকস। শেষ পর্যন্ত ৫ চার ও ১০ ছক্কায় ৫৩ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন ওই ওপেনার। মঈন আলি অন্যদিকে ২৪ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ২ চার ও ৫ ছক্কায় এই ইনিংস সাজান তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৩৯ রান।


এমএল/