ফাইনাল ম্যাচের আগে তামিমের দুঃখপ্রকাশ


Janobani

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:১০ অপরাহ্ন, ১লা মার্চ ২০২৪


ফাইনাল ম্যাচের আগে তামিমের দুঃখপ্রকাশ
তামিম ইকবাল | ফাইল ছবি

আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা মাত্র, এরপরই পর্দা নামবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দশম আসরের। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচে শুক্রবার (১ মার্চ) মাঠে নামবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস এবং ফরচুন বরিশাল। হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে মাঠে গড়াবে ফাইনাল ম্যাচটি।


এদিকে দুই ফাইনালিস্ট নির্ধারিত হওয়ার পর তাদের নিয়ে বিশেষ আয়োজন করেছিল বিসিবি। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আহসান মঞ্জিলে বিপিএলের ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না দুই ফাইনালিস্ট দলের কোনো অধিনায়কই।


আরও পড়ুন: ফাইনালের আগে লিটনকে যে পরামর্শ দিল কোচ সালাহউদ্দিন


যদিও বলা হয়েছিল, বিসিবির বিশেষ এই আয়োজনে ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনে অংশ নিতে দুই অধিনায়ক লিটন দাস ও তামিম ইকবাল আসবেন। কিন্তু শেষ সময়ে তাদের কাউকেই ট্রফির সাথে দেখা যায়নি। তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়ে দুই দলই এই আনুষ্ঠানিকতা সেরেছে।


অধিনায়ক ছাড়া ফটোসেশন হওয়ায় বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা বাসা বেধেঁছে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও বেশ দুয়োধ্বনি উঠে এ বিষয়কে কেন্দ্র করে। কেউ কেউ বিপিএলের প্রতি ক্রিকেটারদের কমিটমেন্টের বিষয়টিও আলোচনায় নিয়ে আসেন। তবে ইতোমধ্যে নিজে উপস্থিত হতে না পারার বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন বরিশালের কাপ্তান তামিম ইকবাল। বিষয়টি নিয়ে দুঃখও প্রকাশ করেছেন দেশসেরা এই ওপেনার।


ফেসবুকে এক পোস্টে তামিমের লিখেছেন, বিপিএল ফাইনালের আগে ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনের জন্য আজকে চমৎকার একটি জায়গা বেছে নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে আমি সেখানে উপস্থিত হতে পারিনি, এজন্য বিসিবি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব অনুসারীর প্রতি আমি দুঃখপ্রকাশ করছি। অধিনায়ক হিসেবে এটা অবশ্যই আমার দায়িত্ব ছিল এরকম বিশেষ একটি আয়োজনে থাকা।


আরও পড়ুন: উন্মোচন করা হলো বাংলাদেশ জাতীয় দলের নতুন জার্সি


তামিম আরও যোগ করেন, বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতেই আমরা কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলেছি। ম্যাচ শেষে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে হোটেলে ফিরতে ফিরতে আমাদের অনেক রাত হয়ে যায়। এরপর ফাইনালে ওঠার আনন্দ উদযাপনের জন্য দল থেকে বিশেষ আয়োজনের ব্যবস্থা ছিল। এর পাশাপাশি, অধিনায়ক হিসেবে আমার বাড়তি কিছু ব্যস্ততাও ছিল। সবকিছু শেষ করতেই আমার অনেকটা সময় চলে যায়। তাই আমার পক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় হোটেল থেকে বের হওয়া সম্ভব ছিল না। এই জায়গাটি যেহেতু একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা, ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনটি নির্দিষ্ট সেই সময়েই করার কিছু বাধ্যবাধকতাও ছিল।


বরিশাল অধিনায়কের ভাষ্য, আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময়ের জন্য বিপিএলকে অনেক মূল্য দিয়েছি এবং এই টুর্নামেন্টকে আরও ওপরে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কখনোই জনপ্রিয় এই টুর্নামেন্টকে কোনোভাবে খাটো করতে চাইনি। বিপিএলের জন্য কোনো কিছু করার সুযোগ পেলে ভবিষ্যতেও এগিয়ে আসার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তবে আজকের এই পরিস্থিতিতে আমার আসলে কোনো উপায় ছিল না এবং আর এজন্য আবারও আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।


এমএল/