বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে বান্ধবী হারালেন অভিনেত্রী নাদিয়া


Janobani

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:৩১ অপরাহ্ন, ১লা মার্চ ২০২৪


বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে বান্ধবী হারালেন অভিনেত্রী নাদিয়া
ছবি: নাদিয়ার ফেসবুক থেকে নেওয়া

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে আছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়ার বান্ধবী দোলা ও তার বোন। তাদের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন এই অভিনেত্রী।


শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে নিজের সোশ্যাল পেজে এই তথ্য জানান নাদিয়া।


সোশ্যাল পোস্টে তিনি বলেন, বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে আমার বান্ধবী দোলা ও তার বোন ইন্তেকাল করেছে। আল্লাহ্ নিহত সকলের আত্মার শান্তি দিক আমিন।


আরও পড়ুন: বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় শাকিব খানের শোক


আরেক পোস্টে নাদিয়া লিখেছেন, এ বছর আর চাঁদ রাতে আমাদের দেখা হবে নারে দোলা। এ ছবিটা আমরা যেখানে তুলেছিলাম বেইলি রোডে, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সেখানেই নিষ্ঠুর আগুনের গ্রাসে তোর হারাতে হলো আমাদের। তোর সহজ সরল হাসিমাখা মুখটা আজীবন আমাদের কাঁদাবে বোন, অনেক ঘুমাতে ভালোবাসতিস তুই। আজকেও দেখলাম নিষ্পাপ শিশুর মতনই ঘুমাচ্ছিস তুই। আল্লাহ তোদের পরিবারকে তোদের দুই বোনের এই অকাল মৃত্যুতে শোক সহ্য করার ধৈর্য শক্তি দান করুক, তোদেরকে জান্নাতবাসী করুন, আমিন। আর আমাদের ক্ষমা করে দিস, তোদেরকে বাঁচাতে পারলাম না।


এদিকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ জনকে শনাক্ত করা গেছে। শনাক্তদের মধ্যে ৩৫ জনের মরদেহ স্ব স্ব পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: ‘মাহি কুফরি দ্বারা আক্রান্ত’


বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে, সেটি সাততলা ভবন। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকেই এই রেস্টুরেন্ট গুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হতে দেখাযায়। এদের অনেকেই স্ব-পরিবারে সেখানে খাবার খেতে যান।


শুধুমাত্র তিনতলাতেই কাপড়ের দোকান ছিল। বাকি সবগুলোই রেস্টুরেন্ট ছিল। আর এসব রেস্টুরেন্টগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। যে কারণে আগুনের তীব্রতা আরও ভয়াবহভাবে সর্বত্র ছড়িয়েছে।


এমএল/