‘ন্যাড়া’ মাথা প্রসঙ্গে যা বললেন দেবের প্রেমিকা রুক্মিণী
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, ২৯শে মে ২০২৪
বেশ কয়েকদিন আগে মাথার ‘ন্যাড়া’ ছবি পোস্ট করে নেটদুনিয়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন টালিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। সম্প্রতি জিতের প্রযোজনায় তার নতুন সিনেমা ‘ব্যুমেরাং’। এতে জিৎ এর বিপরীতে ন্যাড়া মাথায় দেখা যাবে তাকে।
সম্প্রতি ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাথা ‘ন্যাড়া’ করার প্রসঙ্গে কথা বলেছেন রুক্মিণী। অভিনেত্রী জানান, ন্যাড়া মাথায় আমাকে দেখে অনেকেই প্রশংসা করেছেন। এমনকি, মুম্বাইতেও আমার লুক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আসলে এই প্রথম আমার কোনো লুক নিয়ে এতটা চর্চা হল।
বর্তমানে রুক্মিণী কলকাতার প্রথম সারির অভিনেত্রী। হয়তো অনেকেই এই ধরনের লুকে অভিনয় করতে অসম্মতি জানাতেন। কিন্তু সিনেমার প্রস্তাব পাওয়ার পর বেশ ঠান্ডা মেজাজেই রাজি হয়ে যান এই অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: যে কারণে পড়াশোনাকে অত্যাচার মনে করেন এআর রহমান
এ প্রসঙ্গে রুক্মিণী জানান, ‘মানুষ ভালো বলবেন, না কি খারাপ, আমি সেসব কিছুই ভাবিনি। আমার কাজটা করে ভালো লাগছে কি না, সেটাই বেশি করে মাথায় কাজ করছিল। তাছাড়া লোকে কী ভাববে, সেটা ভেবে জীবন যাপন করলে তখন তা আর নিজের জীবন থাকে না! সেটা করলে আমার জীবনের রিমোটটা তখন তাদের হাতে থাকবে। আর আমি সত্যিই রোবট হয়ে যাব।’
অন্যদিকে প্রথম দিন মেকআপ নেওয়ার পরই শুটিং ফ্লোর থেকেই দেবকে নিজের ছবি তুলে পাঠিয়েছিলেন রুক্মিণী। সিনেমায় বিশেষ কারণে একটি সুপারবাইক ব্যবহার করা হয়েছে। অভিনেত্রী জানান, ‘আমি ওই সুপারবাইকে বসেই ছবিটা তুলে দেবকে পাঠিয়েছিলাম। ও লিখে পাঠিয়েছিল, ‘মাথার চুল ছাড়াও যে তোমাকে এতটা ভালো লাগতে পারে, এটা আমার কোনো ধারণাতেই ছিল না।’ আমাকে নাকি সুপারমডেলের মতো দেখতে লাগছে, বলেছিল দেব।
রুক্মিণীর ভাষ্য, হলিউডে তো এ রকম লুকে নজর কেড়েছেন অনেক অভিনেত্রী। আসলে ন্যাড়া হয়েও যে গ্ল্যামারাস হওয়া সম্ভব, আমার মনে হয়, লুকটা সে কথাই প্রমাণ করে।’
আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি পূজা ব্যানার্জি
জানা গেছে, ‘ব্যুমেরাং’-এ দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুক্মিণী। একটি বাস্তব চরিত্র, অন্যটি রোবটের। তিনি জানালেন, রোবটের চরিত্রের রূপটানের জন্য ২ ঘণ্টা সময় লাগত। তারপর ন্যাড়া লুকের জন্য প্রস্থেটিক তৈরিতে আরও ৩ ঘণ্টা। মেকআপের জন্য মোট ৫ ঘণ্টা চেয়ারে বসে থাকতে হত রুক্মিণীকে।
এ বিষয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘ সময়গুলো খুব কঠিন ছিল। মনে আছে ভোর ৫টা থেকে মেকআপ শুরু হত। কিন্তু রূপটান শিল্পী বীথিকা বেনিয়া আমার সঙ্গে দীর্ঘ দিন কাজ করছে। সে খুব ভালো কাজ করেছে।
পরিশ্রমের ফল যে ভালো হয়, সেটা বিশ্বাস করেন রুক্মিণী। তাই শেষ পর্যন্ত যখন নিজের লুকটা দেখেন, তখন বুঝতে পারেন, তাদের পরিশ্রমটা সার্থক। সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন
জেবি/আজুবা