জাতির সবচেয়ে বড় দুটি অর্জন আ. লীগের নেতৃত্বে: কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২১ অপরাহ্ন, ২২শে জুন ২০২৪
৭৫ বছরের আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ সাম্প্রদায়িক শক্তি বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “জাতির সবচেয়ে বড় দুটি অর্জন হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা এবং দেশের সর্বোচ্চ উন্নয়ন। এই দুটিই এসেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। বিজয়কে এখনো সুসংহত করতে পারিনি, সাম্প্রদায়িকতা এখনো বিজয়ের প্রধান অন্তরায়।”
শনিবার (২২ জুন) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আ. লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে হবে: ওবায়দুল কাদের
কাদের বলেন,“দেশকে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রমাণ করার জন্য ও দেশের রাজনীতিবিদদের ব্যর্থ প্রমাণ করার জন্য একটি মহল ওয়ান ইলেভেনের মতো পরিকল্পিতভাবে পাঁয়তারা করছে।”
আ. লীগ রাজনীতি করে মানুষের জন্য। দলটি মানুষের সঙ্গে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “এখন দলের অসমাপ্ত কাজ করা, সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী শক্তিকে পরাজিত করে অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠন এবং দলের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনাই আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান লক্ষ্য। তার মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ চলমান উন্নয়ন প্রকল্প সুসম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে।”
দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, “প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বার্তা হলো নতুন প্রজন্ম এবং নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন। রাজনীতি মানুষের জন্য, মানুষের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ছিল, আছে এবং থাকবে।”
রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিবাজ বানানোর জন্য অপতৎপরতা চালাচ্ছে একটি মহল-এমন দাবি করে কাদের বলেন, “অসৎ ব্যবসায়ী ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকবে।”
আ. লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামীকাল রবিবার (২৩ জুন) দুপুরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেবো না: ওবায়দুল কাদের
পরে আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।
গত ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে প্রতিষ্ঠিত হওয়া দলটি পরবর্তীতে অসাম্প্রদায়িক রূপ লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামে আত্মপ্রকাশ করে।
জেবি/এসবি