নাফ নদীতে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা নিহত


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, ৮ই জুলাই ২০২৪


নাফ নদীতে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা নিহত
ছবি: প্রতিনিধি

কক্সবাজারে টেকনাফের নাফ নদীতে কাঁকড়া আহরণের সময় মিয়ানমার জলসীমার অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছে।


নৌ- পুলিশের টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ পরিদর্শক তপন কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে লালদিয়া চরে এ ঘটনা ঘটেছে।


নিহত মো. জোবায়ের (১৯) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় বসবাসকারি আব্দুল হামিদের ছেলে।


আরও পড়ুন: টেকনাফে দুই সন্তানের জনকের পরিত্যক্ত মরদেহ উদ্ধার


ঘটনায় আহতরা হলেন, হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকার নুর কামালের ছেলে শাহ আলম (৩০) এবং দমদমিয়া বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকার মো. মেস্তরির ছেলে মো. শুক্কুর (২৪)।


নৌ-পুলিশ জানিয়েছে, হতাহতরা সকলেই পুরাতন রোহিঙ্গা। তাদের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পের বাইরে বনবিভাগের সরকারি জায়গায় বসবাস করে আসছিল।


হতাহতদের স্বজনসহ স্থানীয়দের বরাতে তপন কুমার বিশ্বাস বলেন,   রবিবার বেলা ১২ টার দিকে স্থানীয় রোহিঙ্গা যুবক শাহ আলম, মো. জোবায়ের ও মো. শুক্কুর মিলে টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরা এলাকা সংলগ্ন নাফ নদীতে কাঁকড়া আহরণ করতে যায়। এক পর্যায়ে তারা নাফ নদীর শূণ্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের লালদিয়া চর নামক এলাকায় গিয়ে কাঁকড়া শিকার করতে থাকে।


“ ঘটনায় আহতরা জানিয়েছে, কাঁকড়া ধরার এক পর্যায়ে কাঁদা মাটিতে পুঁতে রাখা কোন বস্তু বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তারা তিনজনই আহত হয়। পরে তারা আহত অবস্থায় পানিতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমার অভ্যন্তরে পৌঁছায়।” 


আরও পড়ুন: পাঁচ দিন পর টেকনাফ সীমান্তে আবারও বিকট শব্দ


নৌ- পুলিশের এ পরিদর্শক বলেন, “এক পর্যায়ে কূলে পৌঁছানোর পর আহতদের মধ্যে শাহ আলম ও মো. শুক্কুর বাড়ী ফিরে আসলেও গুরুতর আঘাত পাওয়া মো. জোবায়ের নদীর তীরেই রয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা মো. জোবায়েরকে উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে আসে।এক পর্যায়ে সেখানে সে মারা যায়।


আহত দুইজনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তাদের সেখানে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশংকাজনক হওয়া মো. শুক্কুরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।”


আরও পড়ুন: ১৪ দিন পর বিকল্প নৌপথে টেকনাফ-সেন্টমাটিন থেকে ৯ নৌযানের আসা-যাওয়া


“ বিস্ফোরণের ঘটনায় মো. জোবায়ের এর ডান পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে গোড়ালি পর্যন্ত সম্পূর্ণ উড়ে গেছে। তার বাম পায়ের কিছু স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া তার সঙ্গে কাঁকড়া আহরণ করতে যাওয়া শাহ আলম ও মো. শুক্কুরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমপ্রাপ্ত হয়েছে।” 


নিহতের লাশ নিজ বাড়ীতেই রয়েছে এবং ঘটনার ব্যাপারে টেকনাফ থানা পুলিশের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে বলে জানান পরিদর্শক তপন কুমার বিশ্বাস।


 এসডি/