কলাপাড়ায় করলার বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:০৫ অপরাহ্ন, ৩০শে জুলাই ২০২৪


কলাপাড়ায় করলার বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি
ছবি: প্রতিনিধি

স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলাসহ ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয় নীলগঞ্জ ইউনিয়নের করলা। উচ্চ মূল্যের ফসল উৎপাদন করে নজর কেড়েছে পটুয়াখালীর  কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারার কৃষকরা। স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কলাপাড়ার আওতায় পঁচিশ জন কৃষক গ্রুপ করে পাঁচ একর জমিতে করলা চাষ করে এবার বাম্পার ফলন ফলিয়েছেন। কৃষকরা আশা করছেন চাষাবাদের সময় থেকে ফসল উৎপাদন পর্যন্ত পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রায় বিশ লক্ষ টাকা আয় হবে। 


মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সরেজমিনে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা গেছে, শুধু গ্রুপ নয় আধুনিক চাষাবাদ দেখে ইউনিয়নের অনেক কৃষক এখন করলা চাষ করে লাভবান হচ্ছে। যেদিকে চোখ যাবে মাঠ ভর্তি শুধু করলা আর করলা। কৃষকরা জানান, খালে লবন পানি না ঢুকালে আমরা মিষ্টি পানি ব্যবহার করে সারা বছর কৃষিতে বাম্পার ফলন ফলাতে পারবো। 


আরও পড়ুন: কুয়াকাটাতে হোটেলের শেয়ার নিয়ে সৈয়দ আবেদ আলীর প্রতারণার ফাঁদ


এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষক আলতাফ হোসেন গাজী বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে আমরা নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষকরা এসএসিপি এর প্রশিক্ষন পেয়ে সবচেয়ে বেশি করলা উৎপাদন করতে পেরেছি। কৃষক সুলতান গাজী জানান, আগে আমরা সনাতন পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করতাম। এখন আমরা কৃষি অফিস থেকে এসএসিপি এর প্রশিক্ষণ পেয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষাবাদ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছি। কৃষক আব্দুল হক জানান, আমরা কুমিরমারার কৃষকরা চৈত্র মাস থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত লতা কৃষিকাজ করতে থাকি। 


কৃষক আবুল কালাম বলেন, আমরা কৃষকরা আগে মাঠের ধূলা টেনে কৃষিকাজ করতাম বর্ষা এলে ধূলা ধুয়ে গিয়ে গাছের গোড়া পঁচে গাছ মরে যেত আমরা কৃষকরা এতে ক্ষতিগ্রস্থ হতাম। এখন আমরা কৃষি অফিসের পরামর্শে এসএসিপি প্রকল্পের প্রশিক্ষণ নিয়ে মাঠে উচু বেড করে সবজি লাগাই এখন আর বেড ধুয়ে যায়না। কৃষি নষ্ট হয় না। আগে লোকাল বীজ দিয়ে চাষাবাদ করতাম এখন আমরা হাইব্রিড বীজ দিয়ে চাষাবাদ করি। শুকনা সিজনে খালে লবন পানি না ঢুকালে সারা বছর আমরা বাম্পার ফলন ফলাতে পারবো।


আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে পুরোনো সেতু ভেঙ্গে খালে যুবক আহত


এ বিষয়ে আড়ৎ মালিক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পাখিমারা থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় চারশত থেকে পাঁচশত মণ করলা পাঠানো হয়।


কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন জানান, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষকরা প্রচুর পরিমান উচ্চ মূল্যের ফসল করলা উৎপাদন করেছে। তারা স্থানীয় চাহিদা পূরন করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ করলা পাঠাচ্ছে। এসএসিপি সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা কৃষকদের আমাদের অফিসে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আধুনিক পদ্ধতিতে রেইজড বেড করে কিভাবে করলা চাষ করতে হয় তা আমরা কৃষকদের হাতে কলমে শিখিয়েছি। আর এ প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে কৃষকরা আজ লাভবান।


জেবি/আজুবা