Logo

বাগেরহাটে ভোক্তা অধিকারকে নিয়ে বাজার মনিটরিংয়ে শিক্ষার্থীরা

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
১৪ আগস্ট, ২০২৪, ২২:৫৬
54Shares
বাগেরহাটে ভোক্তা অধিকারকে নিয়ে বাজার মনিটরিংয়ে শিক্ষার্থীরা
ছবি: সংগৃহীত

অপরিবর্তিত রয়েছে মাংস ও মশলার দাম

বিজ্ঞাপন

সরবরাহ বৃদ্ধি ও দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বাগেরহাটে সবধরণের সবজি ও মাছের দাম কমেছে। অপরিবর্তিত রয়েছে মাংস ও মশলার দাম। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে শহরের বাজার ঘুরে দেখাযায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরণের সবজির  দাম কেজিতে ৫ থেকে ৬০ টাকা র্পযন্ত কমেছে। তবে পিয়াজ, রসুন, মরিচ, আদাসহ বিভিন্ন প্রকার মশলা এবং গরু, খাসি, মুরগি, ব্রয়লারের দাম আগের মতই আছে। মাছের দামও কমেছে বেশ। তবে এই দামও নাগালের বাইরে বলে দাবি সাধারণ ক্রেতাদের।

বিজ্ঞাপন

বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, বেগুন, করলা, ঢেড়স, কাকরোল ৬০ টাকা, পেপে ৪০ থেকে ৫০, ঝিঙ্গে ৫০, মিস্টি কুমড়া ও পোটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৭০-৮০ টাকা পিচের লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা করে, কমেছে চাল কুমড়ার দামও। প্রতি পিচ চাল কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত।

বাগেরহাটের বাজারে কমেছে মাছের দামও। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১১শ থেকে ১৩শ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১৫ থেকে ১৬শ টাকায়। ৩ থেকে ৫টায় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। কমেছে পাতারি, টেংরা, ফাইস্যা, চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রকার মাছের দাম। সব থেকে কম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছ।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এদিকে গরু, মুরগি ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে পূর্বের দামেই। প্রতি কেজি গরু ৭৫০, খাসি ১০০০ এবং মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা দরে। মশলার দাম কমেনি একটুও। পিয়াজ ১১০, রসুন ২০০, মরিচ ৪০০, মরিচের গুড়া ৫০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।  চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২ টাকা থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। ৪২-৪৩ টাকার স্বর্না বুলেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৮ টাকায়, চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে জাত ভেদে ৫৮ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত। ৬৫ টাকা কেজির দেশি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজিতে। 

এদিকে দ্রব্য মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরকে সাথে নিয়ে মাঠে নেমেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এদিন বেলা ১১‘টা থেকে শিক্ষার্থীদের বাজারের বিভিন্ন পাইকারি খুচরা বিক্রেতাদের দোকানে দোকানে ক্রয় ও বিক্রয় ভাউচার চেক করতে দেখা যায়। পণ্যের গুণগত মান যাচাই এবং ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কিনা সেটির তদারকি করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় প্রতিটি দোকানে মূল্যতালিকা ঝুলিয়ে রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন। শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগকে স্বাদুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

বিজ্ঞাপন

ছালেক শেখ নামের এক ভ্যান চালক বলেন, সবজি, চাল, মাছ, মাংস সবকিছুর দাম এত বেশি যে কিনে খাওয়ার উপায় নেই। আর দাম বাড়ে ১০০ টাকা কমে ১০ টাকা। দ্রব্যমূল কমাতে শিক্ষার্থীরা যে বাজার মনিটরিং করছে, তাতে আমরা খুব খুশি হয়েছি। এভাবে নিয়মিত মনিটরিং করলে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশাকরি।

বিজ্ঞাপন

মনিটরিং কাজে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী হাসিব বলেন, বাজারে অনেক অসংগতি রয়েছে। আমরা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছি। তারা এসব সমস্যার  সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা বাজার মনিটরিং করছি। সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের আমরা সচেতন করছি। কেউ যদি সিন্ডিকেট বা কারসাজি করে বেশি দামে পন্য বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ধরণের মনিটরিং ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

এসডি/

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD