নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই বিসিবি থেকে পাপনকে সরানো সম্ভব


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:৩০ অপরাহ্ন, ১৪ই আগস্ট ২০২৪


নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই বিসিবি থেকে পাপনকে সরানো সম্ভব
ছবি: প্রতিনিধি

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নতুন সরকার আসার পর থেকেই অস্থির এক সময় পার করছে দেশের ক্রিকেট অঙ্গন। রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান সভাপতি ও সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। জাতীয় সংসদ বিলুপ্তির পর তার সংসদ সদস্য পদ এবং মন্ত্রীত্ব চলে গেলেও বিসিবি সভাপতির পদ এখনো টিকে আছে। 


যদিও বিসিবিতে সভাপতি হিসেবে পাপন এখনো পর্যন্ত অনুপস্থিত। আর দেশের ক্রিকেটেও বিরাজ করছে অস্থির অবস্থা। সহ-সভাপতি পদে শূন্যতা থাকায় এখন পর্যন্ত কেউই দায়িত্বে নেই। নতুন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জোর দিয়েছেন আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগের সাপেক্ষে বিকল্প খোঁজার দিকে। 


আরও পড়ুন: কারো যদি রাজনীতি করার ইচ্ছে থাকে অবসর নিয়ে করুক: সোহান


সচিবালয়ে প্রথম দিনে এসেই বলেছিলেন, ‘বর্তমানে বিসিবির সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। অবশ্যই একটা সংস্থাকে কাজ করতে হলে সবার উপস্থিতি প্রয়োজন। সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যেহেতু তিনি অনুপস্থিত আছেন, তাই আমরা বিসিবির যারা পরিচালক আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আইসিসির আইন মেনে যেটা করার, সেটাই করবেন। পাশাপাশি অন্তর্র্বতীকালীন সময়ের জন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় কি না সেই বিষয়টিও দেখতে বলেছি।’


অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য সভাপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপের ফলে অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ক্রিকেট বোর্ডকে সচল রাখতে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়েও নাজমুল হাসান পাপনের পরবর্তী কোনো এক সভাপতি নিয়োগ দেয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে অবশ্য বড় ভূমিকা পালন করতে হবে ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরীর। 


বর্তমান প্রেক্ষিতে সভাপতির অনুপস্থিতি এবং দেশের চলমান অবস্থা ব্যাখ্যা করে আইসিসির কাছে লিখিত আবেদন করতে হবে সিইওকে। তাতে উল্লেখ থাকবে অন্তর্র্বতী এক কমিটি গঠনের আবেদন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আইসিসির অনুমোদন স্বাপেক্ষে গঠন করা যাবে ক্রিকেট বোর্ডের নতুন এক কমিটি। আসবেন নতুন সভাপতি। তবে এক্ষেত্রে পরবর্তীতে ক্রিকেট বোর্ডে নির্বাচিত সভাপতি আসবেন সেই প্রতিশ্রুতিই আইসিসিকে দিতে হবে।


আরও পড়ুন: নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশের বাইরে যাবে না: আসিফ মাহমুদ


এছাড়া বোর্ড গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, প্রতি দুই মাসে একটি করে পরিচালক সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পরপর তিন সভায় কেউ অনুপস্থিত থাকলে তার পরিচালক পদ বাতিল হবে। সেই বিবেচনায় অন্তত ৬ মাসের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরিচালক ও সভাপতি থাকবেন পাপন। এর মাঝে নিজ থেকে পদত্যাগ না করে সময়ক্ষেপণ করলে বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার পরিচালক পদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। আর সেখানেই ইতি ঘটবে সভাপতি হিসেবে তার মেয়াদের। 


এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে দুবার দেখা গিয়েছিল অন্তবর্তীকালীন কমিটি। ২০০৭ সালে সে সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেয়া হয়েছিল অ্যাড-হক কমিটি। এছাড়া ২০১৩ সালে আ হ ম মুস্তফা কামাল ও নাজমুল হাসান পাপনের মধ্যবর্তী সময়েও ছিল অন্তবর্তীকালীন এক কমিটি।


এমএল/