ত্রাণের আশায় অপেক্ষা, ইসরায়েলি হামলায় ৭১ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, ২৭শে জুলাই ২০২৫

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা ও চরম খাদ্য সংকটে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭১ জন। নিহতদের মধ্যে অনেকেই ত্রাণের আশায় অপেক্ষমাণ ছিলেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, শনিবার (২৬ জুলাই) ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৭১ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ৪২ জন ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজায় ক্ষুধার তাড়নায় অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে মানুষ
অন্যদিকে অনাহার ও অপুষ্টিজনিত কারণে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এভাবে মারা গেছেন ১২৭ জন, যাদের মধ্যে ৮৫ জনই শিশু।
ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। জাতিসংঘসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা জানিয়েছে, অনুমতির অভাবে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা আকাশপথে ত্রাণ সরবরাহ করছে এবং তাদের মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতও একই ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি একে ‘ব্যয়বহুল, ঝুঁকিপূর্ণ এবং অকার্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, গাজায় দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে হলে অবরোধ তুলে রাস্তাগুলো খুলে দিতে হবে।
ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছে, রবিবার থেকে কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় সাময়িক হামলা বিরতি থাকবে। তবে তারা স্পষ্ট করেনি, কোথায় কোথায় এই বিরতি কার্যকর হবে।
আল-জাজিরার গাজা প্রতিনিধি হানি মাহমুদ জানান, এখন পর্যন্ত খুবই অল্প পরিমাণে ত্রাণ ঢুকেছে, যা বাস্তবে কোনো অর্থপূর্ণ সহায়তা নয়। তিনি বলেন, ত্রাণ ফেলা হয়েছে এমন এলাকাগুলো রাতের বেলায় সামরিক নিয়ন্ত্রণাধীন, ফলে তা সংগ্রহ করা প্রায় অসম্ভব।
আরও পড়ুন: ক্ষুধার্ত মানুষের রক্তাক্ত প্রহর: গাজায় ইসরায়েলি গুলিতে নিহত ১১৫
এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হন। এলাকাটি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করা হলেও সেখানে নিয়মিত হামলা চলছে।
স্থানীয় সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জ্বালানি ও যন্ত্রাংশের ঘাটতির কারণে তাদের যানবাহন শিগগিরই সেবা দিতে পারবে না। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছে।
এসডি/