পুলিশ অ্যাক্টিভ হলে সবাই বলে বেশি করে ফেলেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৭ পিএম, ৩১শে আগস্ট ২০২৫

পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্রিয় হলে অনেক সময় সমালোচনা করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রবিবার (৩১ আগস্ট) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “পুলিশ অ্যাক্টিভ হলে সবাই বলে বেশি করে ফেলেছে। ক্রিকেট খেলায় দাগ দিয়ে তো বলা সম্ভব হয় না, কোনটা ‘ওয়াইড’ হবে। গতকাল (শনিবার) আগুন ধরার পর পুলিশ বাধা দিয়েছে। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে আগুন ধরার আগেই অ্যাকশনে যাওয়া। গতকাল চট্টগ্রামেও একটি ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলো যেন আস্তে আস্তে কমে যায়, সেজন্য সবার সহযোগিতা দরকার।”
আরও পড়ুন: এবার নুরকে রাষ্ট্রপতির ফোন, দিলেন যে আশ্বাস
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ভোট কতটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে, তা নির্ভর করছে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনকে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ রাখতে পুরোপুরি প্রস্তুত। জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণও গুরুত্বপূর্ণ, সেটি রাজনৈতিক দলগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কিছু দল সক্রিয় না থাকায় তারা নির্বাচন না হওয়ার পক্ষে অবস্থান নিতে পারে। তবে এটি প্রতিহত করতে হবে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোকেই। নির্বাচনের পরিবেশ রক্ষা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকাই কাল হলো অন্তর্বর্তী সরকারের: মোস্তফা ফিরোজ
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান, বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন, রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যকলাপ, পুলিশ সংস্কার কমিশন, মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানি ও ভুয়া খবর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদ নির্বাচনেও পুলিশ যেন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে, সে বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ক্ষুদ্র ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নইলে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যের সুযোগ নিতে পারে দোসররা।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিবৃতিতে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার
এছাড়া তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ঢাকায় এক হাজার ৬০৪টি অবরোধ হয়েছে, যেখানে ১২৩টি সংগঠন অংশ নিয়েছে। এসব অবরোধের কারণে জনদুর্ভোগ বাড়ছে। তাই দাবি-দাওয়া সড়কে না করে খোলা মাঠ বা উদ্যানে জানাতে রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এএস