আমরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়তে জানি: চমক

বানভাসিদের উদ্ধারে সরেজমিনে কাজ করতে দেখা গেছে
বিজ্ঞাপন
মানুষ হিসেবে সব সময় একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সবসময়ই প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর-ফসলি জমি। এবার তিনি ছুটে গেলে বন্যা কবলিত এলাকায়। এই অভিনেত্রী শুরু থেকেই বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। একটি টিম নিয়ে বানভাসিদের উদ্ধারে সরেজমিনে কাজ করতে দেখা গেছে এই অভিনেত্রীকে।
বিজ্ঞাপন
নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্যাদুর্গতদের আপডেট জানিয়ে একটি পোস্ট করেছেন চমক। সেখানে দেখা যায়, গ্রামের অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছে সঙ্গে রয়েছে তার টিমের সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। সেসব ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘তোমার ভয় নেই মা, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।’ এইটা শুধুমাত্র একটা গান না, এইটা জাতিগতভাবে আমাদের পরিচয়। আমরা প্রতিবাদী আমরা বিপ্লবী আমরা হার না মানা নির্ভীক যোদ্ধা।’
বিজ্ঞাপন
এ অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘যেকোনো দুর্যোগ, হোক সেটা প্রাকৃতিক অথবা মানবসৃষ্ট আমরা সেটাকে বুক পেতে হাসিমুখে প্রতিহত করতে পারি। আমরা যেমন রাজপথে দুহাত মেলে বুকে গুলি নিতে পারি, তেমনি বন্যার ছোবল থেকে আমাদের দেশটাকে বাঁচিয়েও আনতে পারি। পৃথিবীর যত বড়ো পরাশক্তিই হোক না কেন, আমাদের ভাসিয়ে দেয়া উজাড় করে দেয়া, নিশ্চিহ্ন করে দেয়া এত সহজ না! কারণ আমরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়তে জানি। তাই আপাতত চোখের সামনে অনেকগুলো হাসিমুখ দেখছি, যারা সারাদিন পানির মধ্যে যুদ্ধ করে, দুটো শুকনো টোস্ট আর গুড় খেয়েও প্রাণ খুলে হাসছে, আর প্রস্তুতি নিচ্ছে কালকের যুদ্ধের জন্য। গানটি বারবার বুকে এসে বাঁধছে ‘তোমার ভয় নেই মা, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।’
বিজ্ঞাপন
শনিবার আরেকটি পোস্টে লিখেছেন, সেখানে তিনি বলেন, ‘ফেনীর যত উপজেলা প্লাবিত হলো ,তাদের অলমোস্ট ৮০% পানি নামবে মুহুরী নদী দিয়ে। এই মুহুরী নদীর প্রকল্পের ৪০ টা গেইট দিয়ে যে পরিমাণ পানি নামবে ,তার থেকে কয়েকগুণ বেশি ,দ্রুত সব পানির প্রবাহ সোনাগাজীর দিকে আসবে। পারলে দ্রুত সোনাগাজীতে ,সবাই যত পারেন তত নৌকা এবং স্পীড বোটের ব্যবস্থা করেন। আর সকলে নিজের পরিচিত সকলকে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে এবং উঁচু দালানে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন।’
বিজ্ঞাপন
আরএক্স/