২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও ৫ জনের

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৪৯০ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনিক ডেঙ্গু পরিস্থিতি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মৃত পাঁচজনের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১ জন, দক্ষিণ সিটিতে ২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২ জন রয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯১ জন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৮ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১০৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৭ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৮ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫ জন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪০ জন রোগী চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৮৩৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৬ হাজার ৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী।
বিজ্ঞাপন
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সব জায়গায় প্রচার চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
প্রঙ্গত, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।






