মুম্বাইয়ে হঠাৎ কঠোর বিধিনিষেধ, কারণ কী?

ভারতের ব্যস্ততম শহর মুম্বাইয়ে হঠাৎ করে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের (জিআরএপি) চতুর্থ ধাপ—সর্বোচ্চ মাত্রার দূষণ–সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ক্রমাগত বায়ুদূষণের কারণে দিল্লির মতো মুম্বাইও ‘বিষাক্ত বাতাসের শহর’ হিসেবে তালিকায় যোগ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ‘খুব খারাপ’ থেকে ‘মারাত্মক’ পর্যায়ে পৌঁছানোয় জিআরএপি–৪ কার্যকর করা হয়েছে। এসব এলাকার মধ্যে রয়েছে—মাজগাঁও, দেউনার, মালাড, বোরিভালি ইস্ট, চাকলা–আন্ধেরি ইস্ট, নেভি নগর, পওই ও মুলুন্ড।
বিজ্ঞাপন
বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপাল করপোরেশন (বিএমসি) ইতোমধ্যে এসব এলাকায় সব ধরনের নির্মাণকাজ ও ধুলা–সৃষ্টিকারী কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে। ৫০টির বেশি নির্মাণ প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে স্টপ-ওয়ার্ক বা শাটডাউন নোটিশ। ছোট শিল্পপ্রতিষ্ঠান—যেমন বেকারি, মার্বেল কাটিং ইউনিট—গুলোকেও পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তিতে রূপান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি ওয়ার্ডে ফ্লাইং স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়েছে। প্রকৌশলী–পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত এসব দল জিপিএস–যুক্ত গাড়িতে করে বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি চালিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মুম্বাইয়ের বাতাসের মান ভয়াবহভাবে নিচে নেমেছে। শহরের বাসিন্দারা চোখে জ্বালাপোড়া, শ্বাসকষ্ট ও গলা ব্যথার মতো সমস্যার অভিযোগ করছেন—যা কয়েক বছর ধরে দিল্লির মানুষ অনুভব করে আসছেন।
বিজ্ঞাপন
কৌতুক অভিনেতা ভির দাস ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট করে সুরের সঙ্গে কটাক্ষ করে বলেন— “একিউআই, একিউআই… লেট মি ডাই!”
অভিনেত্রী–নির্মাতা সোনি রাজদন বলেন— “অবহেলার কারণে যেন আমাদের মরতে না হয়, জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে।”
বিজ্ঞাপন
গীতিকার বরুণ গ্রোভার মন্তব্য করেন— “বায়ুদূষণের প্রাণঘাতী প্রভাব ধীরে ধীরে দেখা দেয় বলে মানুষ গুরুত্ব দেয় না; অথচ এটি আয়ু ১৫ বছর পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে।”
এদিকে, মুম্বাই কংগ্রেস ‘মুম্বাই ক্লিন এয়ার অ্যাকশন প্ল্যান’ প্রকাশ করেছে। এতে পরিচ্ছন্ন বাতাসকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি, দূষণ–সৃষ্টিকারী কার্যক্রমের সার্বক্ষণিক নজরদারি, ১০ লাখ গাছ রোপণ, এবং যানবাহন–নির্মাণ–শিল্প খাতের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।








