ইউক্রেনের ‘সবচেয়ে বড় সমস্যা’ কী, জানালেন ট্রাম্প

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের টানাপোড়েনে কিয়েভ এখন কঠিন পরিস্থিতিতে। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—ইউক্রেন যদি মস্কোর সঙ্গে সমঝোতায় না আসে, তবে কিয়েভকে দেওয়া সব মার্কিন সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
কেন এমন কঠোর শর্ত? এর জবাবই দিয়েছেন ট্রাম্প। রবিবার এয়ারফোর্স ওয়ান–এর ফ্লাইটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইউক্রেনের কিছু বড় সমস্যা আছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। কিয়েভ কোনোভাবেই দুর্নীতি থামাতে পারছে না। ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য প্রধান দায় এই দুর্নীতি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে যুদ্ধ শুরুর পর গত তিন বছরে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ইউক্রেনকে হাজার হাজার কোটি ডলার আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়েছে। তবে সেই সাহায্যের বড় অংশই লুটপাট হয়েছে বলে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মূল্যায়ন। দেশটির উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও এতে জড়িত—এমন অভিযোগই সবচেয়ে বেশি আলোচিত।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি দুর্নীতিবিরোধী তৎপরতা বাড়াতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জ্বালানি খাতে ঘুষ–কেলেঙ্কারি ফেঁসে যাওয়ায় নভেম্বরে বরখাস্ত করা হয়েছে জ্বালানিমন্ত্রী ভিতলানা গ্রিনচুক ও আইনমন্ত্রী হারমান হালুশোঙ্কোকে। অভিযোগ—তারা অন্তত ১০ কোটি ডলারের দুর্নীতি চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এ ছাড়া ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সাবেক ব্যবসায়িক অংশীদার তিমুর মিনদিচ। অভিযোগ, পুরো ঘুষ–চক্রের সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জেলেনস্কি নিজেও স্বীকার করেন, জ্বালানি খাতসহ রাষ্ট্রীয় সব কাজে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা থাকা উচিত। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিটি তদন্তে আমি সম্পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি জেলেনস্কির জন্য বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ। নিজ ঘনিষ্ঠজনদের বরখাস্ত করা এবং কারাগারে পাঠানোর মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হলেও দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকর্মী, বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তারা তাকে দৃঢ় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।








