ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথ: পোপ লিও

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের স্থায়ী সমাধান হিসেবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান জানিয়েছেন রোমান ক্যাথলিকদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ লিও চতুর্দশ। রবিবার তুরস্ক থেকে লেবাননে যাওয়ার পথে বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
পোপ লিও বলেন, “অনেক বছর ধরে চলা এই সংঘাত থেকে মুক্তির একমাত্র গ্রহণযোগ্য পথ হলো দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান। আমরা জানি—ইসরায়েল এখনো তা মানতে রাজি হয়নি, কিন্তু আমাদের কাছে এটিই একমাত্র বাস্তবসম্মত উপায়।”
তিনি আরও জানান, ভ্যাটিকান ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন—উভয় পক্ষের সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং ন্যায়সংগত সমাধান নিশ্চিতে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত।
বিজ্ঞাপন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইতোমধ্যে স্পষ্ট করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষে থাকলেও তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধী।
১৪০ কোটি ক্যাথলিকের আধ্যাত্মিক নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর তুরস্কে এটি ছিল পোপ লিওর প্রথম বিদেশ সফর। আট মিনিটের সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট ছাড়াও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দুই যুদ্ধের অবসানে তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সফরকালে পোপ সতর্ক করে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে একযোগে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাত মানবসভ্যতার ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক হুমকি। ধর্মের নামে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের সমালোচনা করার পর পোপ লিওর সাম্প্রতিক মন্তব্যকে আন্তর্জাতিক মহল গুরুত্ব সহকারে দেখছে। মুসলিমপ্রধান তুরস্কে বসবাস করেন অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের বিশ্বব্যাপী আধ্যাত্মিক নেতা প্যাট্রিয়ার্ক বারথোলোমিউ—যা তুরস্কের ধর্মীয় সহাবস্থানের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন পোপ।
মঙ্গলবার পর্যন্ত লেবাননে অবস্থান শেষে তিনি রোমে ফিরে যাবেন।
বিজ্ঞাপন
সূত্র: এএফপি








