সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বুলগেরিয়ায় হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

দুর্নীতি দমনে ব্যর্থতা ও সরকারবিরোধী নানা অভিযোগকে সামনে এনে বুলগেরিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। স্থানীয় সময় বুধবার রাজধানী সোফিয়া থেকে কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী বিভিন্ন শহরে একইসঙ্গে এই বিক্ষোভ হয়, যেখানে হাজার হাজার মানুষ সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন।
বিজ্ঞাপন
দুর্নীতি দমনে ব্যর্থতা ও সরকারবিরোধী নানা অভিযোগকে সামনে এনে বুলগেরিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। স্থানীয় সময় বুধবার রাজধানী সোফিয়া থেকে কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী বিভিন্ন শহরে একইসঙ্গে এই বিক্ষোভ হয়, যেখানে হাজার হাজার মানুষ সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে দরিদ্র সদস্যদেশ বুলগেরিয়া নতুন বছরের শুরুতেই ইউরো মুদ্রা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন সংবেদনশীল সময়েই সরকারবিরোধী আন্দোলন আরও জোরদার হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনের দেয়ালে লেজার প্রক্ষেপণের মাধ্যমে জানান তাদের দাবি, “পদত্যাগ”, “মাফিয়া আউট”, “সুষ্ঠু নির্বাচন চাই”।
সোফিয়ার ৬৪ বছর বয়সী বাসিন্দা ডোব্রি লোকভ বলেন, জনগণের চাপ বাড়তেই থাকবে। শেষ পর্যন্ত সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। দেশে বিচারব্যবস্থার সংস্কার এখন সবচেয়ে জরুরি; তা ঠিক হলে বাকি সমস্যাগুলোও সমাধান হবে।
বুলগেরিয়ান সংসদ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী রোসেন ঝেলিয়াজকভ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি করবে। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি তার সরকারের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ অনাস্থা প্রস্তাব।
বিজ্ঞাপন
গত সপ্তাহে সরকার প্রথম ইউরোভিত্তিক ২০২৬ সালের বাজেট পরিকল্পনা প্রকাশ করলে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সামাজিক সুরক্ষা খাতে অবদান বাড়ানো এবং লভ্যাংশের ওপর কর বৃদ্ধি—এই দুই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জনগণ বিক্ষোভে নামে। তীব্র চাপের মুখে সরকার বাজেট পরিকল্পনা প্রত্যাহার করলেও জনমনে ক্ষোভ কমেনি।
বুলগেরিয়া গত চার বছরে সাতটি জাতীয় নির্বাচন পার করেছে—রাজনৈতিক অস্থিরতা এখন চরমে। সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৪ সালের অক্টোবরে।
বিজ্ঞাপন
আইটি পেশাজীবী অ্যাঞ্জেলিন বাহচেভানোভ বলেন, দেশকে স্বাভাবিক পথে ফিরিয়ে আনার সময় এসেছে। আমাদের অলিগার্কি, মাফিয়া ও তাদের রাজনৈতিক শক্তির প্রভাবমুক্ত হতে হবে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বিটিএ জানায়, শাসক জোট জানিয়েছে—দেশ ১ জানুয়ারি ইউরোজোনে প্রবেশের আগে তারা পদত্যাগ করবে না। তবে বিক্ষোভের অন্যতম আয়োজনকারী দল ‘উই কনটিনিউ দ্য চেঞ্জ’-এর নেতা আসেন ভাসিলেভের মতে,
“সরকার পদত্যাগ করলেও বুলগেরিয়ার ইউরোজোনে প্রবেশে কোনো বাধা হবে না।”
বিজ্ঞাপন
সূত্র: রয়টার্স








