তুষারঝড় জোহান্নেসের তাণ্ডবে ৩ প্রাণহানি

ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের দেশ নরওয়ে, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে শক্তিশালী তুষারঝড় ‘জোহান্নেস’। প্রবল ঝড়, তুষারপাত ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে পুরো অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এই ঝড়ে এখন পর্যন্ত তিনজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। নিহত তিনজনই সুইডেনের নাগরিক।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহতদের বয়স ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে দুজন কাজের প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। অপর একজন জঙ্গলে কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছের আঘাতে প্রাণ হারান।
বিজ্ঞাপন
ঝড়ের প্রভাবে তিন দেশেই মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। তীব্র ঠান্ডার মধ্যে নরওয়ে, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডে লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। সুইডিশ বার্তাসংস্থা টিটির তথ্য অনুযায়ী, শুধু সুইডেনেই ৪০ হাজারের বেশি বাড়িঘর এখনো বিদ্যুৎ সংযোগহীন রয়েছে।
রবিবার সকাল থেকে ঝড়ো বাতাসের তীব্রতা কিছুটা কমলেও সামগ্রিক আবহাওয়া পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি। অঞ্চলজুড়ে তীব্র ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই তুষারঝড়ের কারণে তিন দেশেই যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়ে। নরওয়ে, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডে শত শত ফ্লাইট বাতিল করা হয়, পাশাপাশি বহু ট্রেন ও ফেরি চলাচলও স্থগিত থাকে।
বিজ্ঞাপন
নরওয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল এনআরকে জানিয়েছে, ঝড়ের সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় নর্ডল্যান্ড প্রদেশে। ভৌগোলিকভাবে উত্তর মেরুর কাছাকাছি অবস্থিত এই অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ঝড়ের কারণে ২০০–এর বেশি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে প্রায় ২৩ হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।
ফিনল্যান্ডে এই ঝড়কে ‘হান্নেস’ নামে অভিহিত করেছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর। নরওয়ে ও সুইডেনের মতো ফিনল্যান্ডেও রোববার সকাল থেকে ঝড়ের তীব্রতা কিছুটা কমতে শুরু করে। তবে ঝড়ের রেশ এখনো কাটেনি।
বিজ্ঞাপন
ফিনিশ টেলিভিশন চ্যানেল ইয়েলে জানিয়েছে, ঝড়ের ফলে ফিনল্যান্ডের বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড় থেমে গেলেও এখনো দেশটিতে ৬০ হাজারের বেশি বাড়িঘর বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করার কাজ চলছে।
সূত্র: বিবিসি








