অপারেশন সিঁদুরের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য স্বীকার করল পাকিস্তান

৭ মাস পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান অপারেশন সিঁদুর-এর কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করেছে।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইসহাক দার রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানী ইসলামাবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অভিযানের জেরে নূর খান বিমান ঘাঁটিতে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দারের বক্তব্য অনুযায়ী, ভারতের ৩৬ ঘণ্টায় নিক্ষিপ্ত ৮০টি বিস্ফোরকবাহী ড্রোনের মধ্যে পাকিস্তান আটকে দিতে সক্ষম হয়েছে ৭৯টি, এবং মাত্র একটি ড্রোন বিমান ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছিল। নূর খান বিমান ঘাঁটি পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটির মধ্যে গণ্য করা হয়।
আরও পড়ুন: তুষারঝড় জোহান্নেসের তাণ্ডবে ৩ প্রাণহানি
বিজ্ঞাপন
দার জানান, ভারতের এই হামলা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। তার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান পাল্টা অভিযান ‘অপারেশন বুনিয়ান উম মারসুস’ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতের কাছে যুদ্ধবিরতির আহ্বান করা হয়নি।
উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুর পরিচালনার পেছনে প্রেক্ষাপট হিসেবে ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মিরে অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা এবং পর্যটক হত্যা উল্লেখযোগ্য। এই হামলার দায় টিআরএফ (দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট) নামের একটি জঙ্গি গোষ্ঠী স্বীকার করে।
বিজ্ঞাপন
ভারত-সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় উভয় দেশই কূটনৈতিক ও সীমান্ত ব্যবস্থা কঠোর করে, যার মধ্যে রয়েছে ভিসা বাতিল, আকাশসীমা বন্ধ এবং পানি বণ্টন চুক্তিতে প্রভাব। এই উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারত অপারেশন সিঁদুর পরিচালনা করে, যার ফলাফল হিসেবে পাকিস্তান প্রথমবারের মতো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশ করেছে।








