অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ডেইলি স্টার সেন্টারে আয়োজিত নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের নীতিমালা পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা চাই বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হোক। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার। কোন দল নির্বাচনে অংশ নেবে বা নেবে না, সেটা সরকারের নয়, নির্বাচন কমিশনের বিষয়। আমাদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই, আমরা কোনো দলকেই পৃষ্ঠপোষকতা করি না।”
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, “আমরা একটি ভালো নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চাই। এটি শুধু সরকারের প্রতিশ্রুতি নয়, রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব হচ্ছে অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট আয়োজন করা। আমরা চাই কমিশন যে সহায়তা চাইবে, তা সময়মতো দিতে।”
সাংবাদিকদের নীতিমালা নিয়ে মত প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের আগে প্রিজাইডিং অফিসারকে জানানো, বিষয়টি হয়তো প্রয়োজনীয় নয়। সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন থাকলে সেটিই তাদের প্রবেশের অনুমতি। এসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ইসির উচিত সাংবাদিকদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করা।”
সভায় উপস্থিত সাংবাদিকরা নির্বাচনকালীন নীতিমালায় কিছু ধারা পরিবর্তনের দাবি জানান। তারা বলেন, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের আগে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে অবহিত করার শর্ত, ভোটকক্ষে ১০ মিনিটের বেশি অবস্থান না করার বিধান -এসব সাংবাদিকতার স্বাধীনতা সীমিত করে। তাই এসব বিধান বাতিল ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তারা।
বিজ্ঞাপন
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, সহযোগিতা করে বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজেসির সভাপতি রেজোয়ানুল হক এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব ইলিয়াস হোসেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, যিনি বলেন, “ইসি প্রণীত নীতিমালায় সাংবাদিকদের ভূমিকা যেন সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। আমরা দর্শক হতে আসিনি; নির্বাচনের সত্য চিত্র জনগণের কাছে তুলে ধরাই আমাদের দায়িত্ব।”
বিজ্ঞাপন
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. আল মামুন, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, আরএফইডির সভাপতি কাজী জেবেল ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রমুখ।