আমরা আর মৃত্যু চাই না: সাংবাদিক নুফালের বোন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬:০৯ পিএম, ১৯শে আগস্ট ২০২৫

ইসরায়েলি হামলায় নিহত আল-জাজিরার সাংবাদিক মোহাম্মদ নুফালের বোন জনাত শোকাহত দিন কাটাচ্ছেন। ফিলিস্তিনের গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে ডিজিটাল মিডিয়ায় পড়াশোনা করা জনাত জানান, টানা বোমা হামলায় তার পরিবার একে একে প্রিয়জন হারিয়েছে।
২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর জাবালিয়ায় তাদের বাড়িতে রকেট হামলায় চাচা-চাচী নিহত হন এবং ভাই মোহাম্মদ গুরুতর আহত হন। ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর আহতদের উদ্ধারে গিয়ে প্রাণ হারান বড় ভাই ওমর। ২০২৫ সালের ২২ জুন আত্মীয়দের সঙ্গে বোমা হামলায় নিহত হন মা মুনীরা। সর্বশেষ গত ১০ আগস্ট আল-শিফা হাসপাতালের কাছে মিডিয়া টেন্টে হামলায় সাংবাদিক মোহাম্মদ নুফালসহ আরও ছয় সাংবাদিক মারা যান।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে নিহত ৩৮৩ ত্রাণকর্মী
এখন জনাতের পরিবারের জীবিত সদস্য কেবল বাবা রিয়াদ, ভাই ইব্রাহিম এবং তিন বোন- ওলা, হাদীল ও হানান।
জনাত জানান, বড় ভাই ওমরের মৃত্যুতে বাবা বলেছিলেন, ‘ওহ আল্লাহ, তুমি আমার পিঠ ভেঙে দিয়েছো’। মা মুনীরার মৃত্যুর পর তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা বিধ্বস্ত’। আর মোহাম্মদের মৃত্যুর পর তিনি নীরব ছিলেন, যা পরিবারকে আরও আতঙ্কিত করেছে।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে স্ত্রীর উপর নৃশংস হামলা, কান ছিঁড়ে নিলেন স্বামী
ভাইকে হারানোর পর জনাত ছোট ভাই ইব্রাহিমকে সাংবাদিকতা না করার পরামর্শ দেন। তবে ইব্রাহিম পারিবারিক দায়িত্ব ও মৃত ভাইয়ের আদর্শ অনুসরণে সাংবাদিকতা চালিয়ে যেতে চান।
জনাতের ভাষ্য, “ভয় আমাদের জীবনের স্থায়ী সঙ্গী হয়ে গেছে। শোক আমাদের প্রতিদিনের বাস্তবতা। আমরা আর মৃত্যু চাই না।”
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে আত্মপ্রকাশ করলো প্রথম এআই কন্যা ‘লতিফা’
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত গাজায় ২ হাজার ২০০ পরিবার সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে এবং ৫ হাজার ১২০ পরিবারে কেবল একজন সদস্য বেঁচে আছেন। জনাতের পরিবারও সেই শোক ও ক্ষতির ভয়াবহ বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে গাজার উত্তরাঞ্চলে নতুন করে হামলা শুরু হওয়ায় তারা জাবালিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছেন।
এএস