জামায়াতসহ ৮ দলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আন্দোলনরত ৮টি রাজনৈতিক দল।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে দুপুর দেড়টার দিকে মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও অ্যাড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইনসহ আন্দোলনরত আরও সাত দলের শীর্ষ নেতারা।
অন্যান্য উপস্থিত দলের মধ্যে ছিলেন— ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)।
আন্দোলনরত ৮ দলের পক্ষ থেকে আন্দোলনের নিম্নোক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
ঘোষিত কর্মসূচি:
১৩ নভেম্বর : ফ্যাসিবাদী শক্তির নাশকতা ও অপতৎপরতা প্রতিরোধে ৮ দলের নেতারা সর্বস্তরের জনশক্তিসহ দেশব্যাপী রাজপথে অবস্থান করবে। একই সাথে ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল দেশপ্রেমিক শক্তিকে আমরা রাজপথে নেমে আসার আহ্বানো হয়।
১৪ নভেম্বর : জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোট আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে দেশব্যাপী জেলা/মহানগরী পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল।
বিজ্ঞাপন
১৬ নভেম্বর : আন্দোলনরত ৮ দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক শেষে আল ফালাহ মিলনায়তনে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন।
এর আগে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) পঞ্চম ধাপের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৫ দফা দাবিতে সমাবেশ করে ৪ মাস ধরে আন্দোলনে থাকা ৮টি রাজনৈতিক দল। রাজধানীর পল্টনে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের বিষয়ে অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দ। সেই সঙ্গে গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেয়া না হলে, দেশে সংসদ নির্বাচন হবে না বলেও সতর্ক করেন তারা।
জামায়াতসহ আন্দোলনরত ৮ রাজনৈতিক দলগুলোর ৫ দফা দাবিগুলো হলো-
বিজ্ঞাপন
১) জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের উপর আগামী নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা।
২) আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা।
৩) অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
বিজ্ঞাপন
৪) ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
৫) স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
বিজ্ঞাপন
ঘোষিত কর্মসূচি সর্বতোভাবে সফল করার জন্য দেশবাসীর, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পরিবহন মালিক এবং ট্রাফিক পুলিশসহ সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে।








