হাদির ওপর হামলা সরাসরি গণতন্ত্রের ওপর আঘাত: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদির ওপর বর্বরোচিত হামলা শুধু একজন ব্যক্তির ওপর নয়, এটি সরাসরি গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। তিনি বলেন, সে আমার সন্তান সমতূল্য। তার গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। এ আঘাত গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। যারা এ আঘাত করেছে তাদের কালো হাত ভেঙে দিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসর বলেন, একটি লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছে, সে যেই হোক তার মৃত্যু কামনা করি না। হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এক-দেড়শ লোক ফেসবুকে দেশে মব সৃষ্টির জন্য উসকানি দিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। তারা সবাই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের। ১৯৭৭ সাল থেকে নির্বাচন করে আসছি। কারও সঙ্গে মারামারি হয়নি। একসঙ্গে প্রার্থীরা কোলাকুলি করেছি, খেয়েছি। মারামারি করে আওয়ামী লীগ। আর নির্বাচনসহ রাষ্ট্রকে অস্থির করে সেই বিতর্কিত রাজনৈতিক দল। আমরা চাই হাদির ওপর হামলাকারী গ্রেফতার হোক এবং বিশেষ দলের মুখোশ উম্মেচিত হোক।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মির্জা আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, দুপুর দুইটায় হাদি গুলিবিদ্ধ হলেন, তার আধাঘণ্টা পরই একটি দল উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া শুরু করে। আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পেলাম সবই পরিকল্পিত। আমি ঢাকার ছেলে। দীর্ঘ ৫০ বছর ঢাকায় রাজনীতি করি। আমি শান্ত ছিলাম। আমার নির্দেশনা পেলে তোমাদের তুলোধুনো করত। হাসপাতালে যারা এগুলো করেছে তারা হাদির সমর্থক নয়, তারা অন্য একটি দলের। আমরা শান্ত না থাকলে হাদির চিকিৎসা ব্যাহত হতো। তারা চেয়েছিল হাদির চিকিৎসা যাতে ব্যাহত হয় এবং মারা যাক।
তিনি আরও বলেন, একটি দলের ষড়যন্ত্র আমরা ১৯৭১, ১৯৮৬সহ অনেক দেখেছি। এদের মূল শক্তিই ষড়যন্ত্র। এরা স্থির রাষ্ট্র সহ্য করতে পারে না। তাই রাষ্ট্রকে সবসময়ই অস্থিতিশীল রাখতে চায়।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, একটি লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছে, সে যেই হোক তার মৃত্যু কামনা করি না। হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এক-দেড়শ লোক ফেসবুকে দেশে মব সৃষ্টির জন্য উসকানি দিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। তারা সবাই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের। ১৯৭৭ সাল থেকে নির্বাচন করে আসছি। কারও সঙ্গে মারামারি হয়নি। একসঙ্গে প্রার্থীরা কোলাকুলি করেছি, খেয়েছি। মারামারি করে আওয়ামী লীগ। আর নির্বাচনসহ রাষ্ট্রকে অস্থির করে সেই বিতর্কিত রাজনৈতিক দল। আমরা চাই হাদির ওপর হামলাকারী গ্রেফতার হোক এবং বিশেষ দলের মুখোশ উম্মেচিত হোক।








