বাংলাদেশের স্পিন আঘাতে বিপাকে উইন্ডিজরা

বাংলাদেশের ব্যাটাররা যে রান তুলেছেন, মিরপুরের এই পিচে সেটি প্রায় পাহাড়সম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারদের শুরু থেকেই কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হয়েছে। সেই পরীক্ষা আরও কঠিন করে তুলেছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা—বিশেষ করে নাসুম আহমেদ।
বিজ্ঞাপন
ম্যাচের শুরুতেই ঘূর্ণি জাদুতে ক্যারিবীয় টপ অর্ডারকে একাই ভেঙে দেন নাসুম। ৩ উইকেট নিয়ে তিনি স্বাগতিকদের এনে দেন স্বপ্নের শুরু। পঞ্চম ওভারে প্রথম আঘাত—লেগবিফোরের ফাঁদে ফেলেন ওপেনার অ্যালিক আথানেজকে (২১ বলে ১৫)। এরপর বোল্ড করে ফেরান ব্র্যান্ডন কিংকে (১৭ বলে ১৮) এবং শূন্য রানে বিদায় করেন আকিম অগাস্টেকে।
৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর তানভীর ইসলাম আঘাত হানেন অধিনায়ক শাই হোপকে (১৬ বলে ৪), যাকে ক্যাচে পরিণত করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পরে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন জ্বলে ওঠেন, তুলে নেন আরও ২ উইকেট। ফলে ক্যারিবীয় ব্যাটারদের ব্যাটিং লাইনআপে নামে একেবারে ধস।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ক্যারিবীয় ব্যাটারদের সংগ্রহ ২১ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৬৭ রান।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। সিরিজ নিজেদের করে নিতে এই ম্যাচটিকে অলিখিত ফাইনাল ধরা হচ্ছিল।
উদ্বোধনী জুটিতে ইতিহাস গড়েন সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান। ২৫.২ ওভারে গড়ে তোলেন ১৭৬ রানের পার্টনারশিপ—যা মিরপুরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। ১৯৯৯ সালে শাহরিয়ার হোসেন ও মেহরাব হোসেনের ১৭০ রানের রেকর্ড ভাঙেন তারা।
বিজ্ঞাপন
৭২ বলে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় ৮০ রান করেন সাইফ। অপর ওপেনার সৌম্য ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৮৬ বলে ৯১ রানে আউট হন।
শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯৬ রান তোলে বাংলাদেশ। এই রান এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য পাহাড়সম হয়ে দাঁড়িয়েছে—বিশেষ করে নাসুম, তানভীর ও রিশাদের স্পিন ত্রয়ীর সামনে ব্যাটসম্যানদের টিকে থাকাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
বিজ্ঞাপন