স্পিন ঘূর্নীতে সিরিজ জয় মিরাজদের

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান সংগ্রহ করে।
বিজ্ঞাপন
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩০ ওভার ১ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৭ রানে গুঁটিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা। ফলে ১৭৯ রানের বিশাল জয় পায় স্বাগতিক বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ব্যাটাররা যে রান তুলেছেন, মিরপুরের এই পিচে সেটি প্রায় পাহাড়সম।শুরু থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারদের ধুঁকতে দেখা গেছে। সেই পরীক্ষা আরও কঠিন করে তুলেছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা—বিশেষ করে নাসুম আহমেদ। এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান তোলে টাইগাররা। ইনিংসের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৭৬ রানের রেকর্ড উদ্বোধনী জুটি গড়েন।
সৌম্যর ব্যাট থেকে আসে ৮৬ বলে ৯১ রান (৭ চার, ৪ ছক্কা), আর সাইফ খেলেন ৭২ বলে ৮০ রান (৬ ছক্কা, ৬ চার)। এরপর মিডল অর্ডারে নাজমুল হোসেন শান্ত (৫৫ বলে ৪৪) ও তাওহিদ হৃদয় (৪৪ বলে ২৮) রানের চাকা সচল রাখলেও শেষদিকে ব্যর্থ হন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও রিশাদ হোসেনরা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের স্পিন আঘাতে বিপাকে উইন্ডিজরা
ইনিংসের শেষভাগে নুরুল হাসান সোহান (৮ বলে অপরাজিত ১৬) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (১৭ বলে ১৭) দলের সংগ্রহটা তিনশর কাছাকাছি নিয়ে যান। ক্যারিবীয়দের হয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন আকিল হোসেন ১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট দখল করেছেন। ২৯৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই ধস নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপে। মাত্র ৫ ওভারেই নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিতে প্রথম তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা।
নাসুমের প্রথম শিকার আলিক আথানজে (এলবিডব্লিউ)।এরপর ফেরান আকিম অগাস্টে (০) ও ব্রেন্ডন কিংকে (১৮)। মিডল অর্ডারের ভরসা শাই হোপকেও (৪) ফিরিয়ে দেন তানভীর ইসলাম, আর রিশাদ হোসেনের বলে ক্যাচ তুলে দেন শারেফানে রাদারফোর্ড (১২)।
বিজ্ঞাপন
এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষদিকে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন দশ নম্বরে নামা আকিল হোসেন, যার ব্যাট থেকে আসে দলের সর্বোচ্চ ২৭ রান। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন দুজনেই ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। তানভীর ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ তুলে নেন ২টি করে উইকেট।
শেষবার ২০২৩ সালের মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এর দেড় বছর পর আবারও সিরিজ ট্রফি হাতে তুলল টাইগাররা। ওপেনারদের আগ্রাসী ব্যাটিং ও স্পিনারদের বিধ্বংসী বোলিংসব মিলিয়ে মিরপুরে ছিল একদমই একতরফা বাংলাদেশি আধিপত্য।