ধামরাইয়ে বেড়েছে সবজিসহ আলু ও পেঁয়াজের দাম

ঢাকার ধামরাইয়ের নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের বাজারে সবজি সহ আলু-পেঁয়াজের দম ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। দাম অতিরিক্ত নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন ক্রেতারা।
বিজ্ঞাপন
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে দাম বাড়ায় কমেছে বিক্রি। বাজারগুলোতে নেই কোন সরকারি বেসরকারি মনিটরিং।
সরেজমিনে সকালে ধামরাইয়ের বাজার, কালামপুর, ধানতারা, হাতকোড়া, বারবাড়িয়া, কাওয়ালীপাড়া ও বাথুলিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা যায়।
বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ টাকা করে। গেল সপ্তাহে ১০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচা মরিচ গেল সপ্তাহে ছিল ১২০ টাকা, আর এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা প্রতি কেজি। আর ১৬০ টাকা প্রতি কেজি আদা, ১২০ টাকা কেজি রসুন ও শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে।
বিজ্ঞাপন
এগুলোর দাম গেল সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে। সবজির বাজারেও দামের কিছুটা হেরফের দেখা যায়। বেগুন গেল সপ্তাহের তুলনায় ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা প্রতি কেজি, কদর ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে, করলা ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।
অপরিবর্তিত রয়েছে কিছু সবজির দাম। এরমধ্যে ফুল কপি ১০০ টাকা কেজি, মুলা ৪০ টাকা কেজি, পটল ৮০ টাকা কেজি, টমেটো ১২০ টাকা কেজি, শসা ৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কিছুটা কমেছে বাধা কপির দাম। গেল সপ্তাহে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া বাধা কপি এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা করে। চাল, আটা ও তেলের বাজারে দেখা যায় স্থিতিশীলতা। ২৯ জাতের চাল ৬০ টাকা প্রতি কেজি, চিনিগুড়া চাল ও রাজভোগ চাল ১২০-১৩০ টাকা কেজি, আটা ৪৫-৫০ টাকা প্রতি কেজি, চিকন মসুর ডাল ১৬০ টাকা কেজি, মোটা মসুর ডাল ৯০-১০০ টাকা ও সয়াবিন তেল ১৮৮ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে। এদিকে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অসন্তোষ জানিয়েছেন ক্রেতারা। অবিলম্বে দাম কমাতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। দিপংকর দাস নামে একজন ক্রেতা বলেন, দাম তো বাড়ছেই শুধু ও কমার নাম নাই।
বিজ্ঞাপন
এভাবে চললে খাবো কিভাবে? চলবো কিভাবে? অন্য দিকে বিক্রেতারা বলছেন, গেল সপ্তাহের তুলনায় সরবরাহের কিছুটা ঘাটতি থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে। মাসুদ রানা নামে একজন বিক্রেতা বলেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। আমরা বেশি দামে কিনছি। তাই সামঞ্জস্য করে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে দামের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো নজরদারি দেখা যায়নি।








