কাপাসিয়ায় নার্স–মিডওয়াইফদের দুই ঘণ্টার প্রতীকী শাটডাউন

সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন নার্সিং কলেজ এবং কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আয়োজন করা এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। বাংলাদেশের সকল সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ও বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি (বিএমএস)-এর নির্দেশে এ শাটডাউন পালন করা হয়েছে।

বিএনএ ও বিএমএস জানিয়েছে, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আশ্বাস সত্ত্বেও গত ১৪ মাসে নার্স ও মিডওয়াইফদের প্রশাসনিক বৈষম্য দূরীকরণ, পেশাগত উন্নয়ন বা কাঠামোগত সংস্কারে কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং ৪৮ বছর ধরে চলমান স্বতন্ত্র নার্সিং প্রশাসন ও নার্সিং-মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্ত করে একীভূত করার প্রক্রিয়ায় তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন: গাজীপুরে ছিনতাইকারীদের হামলায় দুই পুলিশ আহত

শাটডাউনের সময় নার্সরা ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন—

১। স্বতন্ত্র নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর একীভূতকরণ বন্ধ করে জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠন।

২। অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি, অর্গানোগ্রাম, স্ট্যান্ডার্ড সেট-আপ ও ক্যারিয়ার পাথ বাস্তবায়ন।

৩। নার্সদের ৯ম থেকে ৪র্থ গ্রেড পর্যন্ত পদ বৃদ্ধি ও সুপারনিউমেরারি পদোন্নতি নিশ্চিতকরণ।

৪। নার্সিং সুপারভাইজার ও ইন্সট্রাক্টর পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা।

৫। ডিপ্লোমা নার্স–মিডওয়াইফকে স্নাতক সমমান, গ্র্যাজুয়েটদের জন্য পেশাদার বিসিএস চালু।

৬ । বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগবিধি-বেতন কাঠামো প্রণয়ন, ভুয়া/অপ্রশিক্ষিত নার্সদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা।

৭। ঝুঁকিভাতা প্রদান ও নতুন বাধ্যতামূলক ইউনিফর্ম বাতিল।

৮। পর্যাপ্ত নার্স–মিডওয়াইফের পদ সৃষ্টি ও দ্রুত নিয়োগ।

বক্তারা বলেন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি পেশা জীবনরক্ষার মূল স্তম্ভ। দীর্ঘদিনের অসমাপ্ত প্রতিশ্রুতি ও কার্যকর উদ্যোগের অভাবের দায়ভার এখন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকেই নিতে হবে।

আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় নিরাপত্তা ও বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত না এলে ২ ডিসেম্বর থেকে ‘অনির্দিষ্টকালের কমপ্লিট শাটডাউন’ শুরু হবে। তবে জরুরি বিভাগ, আইসিইউ, সিসিইউ, এনআইসিইউ, অপারেশন থিয়েটার ও ডায়ালাইসিস ইউনিটে বিশেষ স্কোয়াড দায়িত্ব পালন করবে।