নাসিরনগরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আসামির জবানবন্দি রের্কড

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রী হাবিবা আক্তার (৮) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর শিশুটির বাবা নাসিরনগর থানায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে নাসিরনগর থানা পুলিশের একটি চৌকশ দল দুলাল মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করে।
বিজ্ঞাপন
হত্যার দায় স্বীকার করে বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূকৈ জবানবন্দি দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক আশরাফুল আলম ওই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাকছুদ আহাম্মদ।
গ্রেফতার দুলাল মিয়া উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শংকরাদগ গ্রামের নাছির মিয়ার ছেলে। দুলাল ওই এলাকার চিহ্নিত একজন অপরাধী।
শিশুটির বাড়ি উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শংকরাদগ গ্রামে। তার বাবা মনুস মিয়া একজন কৃষক। মা সৌদি প্রবাসী। নিহত শিশুটির বাবা বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) রাতে নাসিরনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরই রাতে দুলাল মিয়া নামে এক যুবকে গ্রেফতার করে নাসিরনগর থানা পুলিশ। মামলাটি তদন্ত করছেন এসআই মাহবুব আলম সরকার।
বিজ্ঞাপন
আসামির জবানবন্দির বরাতে নাসিরনগর থানার ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) রাতে গ্রেফতার আসামি দুলাল মিয়া ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হাবিবাকে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে তার মুখে ও গলায় চাপ দিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন বুধবার তার লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন
মাকছুদ জানান, মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) রাতে শিশুটির বাবা মনুস মিয়া জানতে পারেন তার মেয়ে হাবিবা একজন পুরুষ লোকের ডাকে সারা দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। এর পর স্থানীয়দের সহযোগীতায় হাবিবাকে খোঁজাখুজি করে সবাই। ঐদিন রাতে দুইবার মাইকে নিখোঁজের সংবাদ প্রচার করা হয়। এসময় আসামি দুলাল মিয়াও খোঁজতে তার বাবার সাথে যোগ দেন। এমনকি লাশ উদ্ধার করার সময় পুলিশ শিশুটির বাড়িতে গেলে দুলাল বিভ্রান্তিকর তথ্য দিতে থাকেন পুলিশ সদস্যদের।
বিজ্ঞাপন
ওসি আরো জানান, দুলালের উল্টাপাল্টা আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। দুলালের সন্দেজনক আচরণের বিষয়টি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার মো আ. রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সরাইল সার্কেল মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারে সাথে কথা হয়। ঘটনার রাতেই শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে নাসিরনগর থানা, ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপাার্টমেন্ট, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ও র্যাপিড একশন ব্যাটিলিয়নের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। তারা ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা করেন। দুলালের উল্টাপাল্টা আচরণ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, দুলাল মিয়া শিশুটিকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর তাকে পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটি চিৎকার করতে থাকলে








