প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক মুক্তার মিয়া (২২) নামে এক যুবকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত মুক্তার উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কাঠালকান্দি গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত এক বছর আগে চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুা গ্রামের রাব্বান মিয়ার মেয়ে শেউলা আক্তারের সাথে কাঠালকান্দি গ্রামের কুটবী পাড়ার মুক্তার মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তাদের প্রেমের ঘটনা দুই পরিবারে জানাজানি হয়।
ছেলের পরিবার মেয়ের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাাঠায় কিন্তু মেয়ের পরিবার এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারে নি। তাই বিয়েল প্রস্তাবেও রাজি হয়নি। পরে এ নিয়ে দুই পরিবারের লোকজন সংঘর্ষ হয়। এতে মেয়ের পরিবারের লোকজন আহত হলে আদালতে মামলা হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মীমাংসা হয়।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত মুক্তার মিয়া অটো নিয়ে চাতলপাড় বাজার থেকে কচুয়া গ্রামের দিকে গেলে রাস্তার সামনে দাড়িয়ে অটো আটক করে। তার পর মেয়ের বড় ভাই শাহালমের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ধারালো ছুরিয়ে দিয়ে হাত-পা ও পেটে আঘাত করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্তানীয়রা উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড় ভাই আক্তার হোসেন বলেন, আমার ছোট ভাই শেউলা আক্তার নামে একটা মেয়েরে পছন্দ করত। আমরা মেয়ের পরিবারের কাছে বিয়েল প্রস্তাব পাঠাইছি কিন্তু তারা আমাদের প্রস্তাব মেনে নিতে পারেনি। তাই একাধিকবার আমার ভাইকে মেয়ের বড় ভাই মারধর করে। আজ দুপুরে আমার ভাই প্রেমিকা শেউলা আক্তারকে সাথে নিয়ে অটোরিকশা দিয়ে কুচয়া গেলে সেখানে আগে থেকেই উৎপেতে থাকা মেয়ের বড় ভাই আলমগীরের নির্দেশে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
বিজ্ঞাপন
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।








