বালিখলা ও মিঠামইন ফেরিঘাটে টোল আদায় শুরু

কিশোরগঞ্জের বালিখলা–মিঠামইন নৌ–রুটে ফেরি চলাচল ও টোল ব্যবস্থাপনা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে যাত্রী ও স্থানীয়দের মধ্যে বিভিন্ন আলোচনা তৈরি হয়েছে। এই রুটটি দীর্ঘদিন ধরেই হাওরবাসীর যোগাযোগের অন্যতম প্রধান ভরসা। বিশেষ করে শুকনো মৌসুমে ফেরি চলাচলই সাধারণ মানুষের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করে থাকে।
বিজ্ঞাপন
কিশোরগঞ্জ–করিমগঞ্জ–চামড়াঘাট–মিঠামইন সড়কের ৩৬তম কিলোমিটারের শান্তিপুর ফেরিঘাটসহ বালিখলা ও মিঠামইন ফেরিঘাটে শুক্রবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে টোল আদায় কার্যক্রম চালু হয়েছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অনুমোদন অনুযায়ী মেসার্স ঐশী এন্টারপ্রাইজ আগামী ৩ বছর পর্যন্ত ফেরিঘাটগুলোর টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এ পথের টোল ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ঐশি এন্টারপ্রাইজের মালিক আজহারুল ইসলাম ফকির রতন জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান সবসময় জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে জনকল্যাণমূলক। আমরা মানুষের সঙ্গে নিয়ে, মানুষের সুবিধাকে সামনে রেখে কাজ করতে চাই। ফেরিসেবা যেন নির্বিঘ্ন থাকে—সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা প্রতিদিনই কাজ করছি।”
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানান, ফেরিচালনায় আরও স্বচ্ছতা, শৃঙ্খলা এবং যাত্রীসেবা বৃদ্ধির উদ্যোগ সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে যাত্রীদের অপেক্ষার সময় কমানো, ফেরির সময়সূচি ঠিক রাখা এবং প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী শৃঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও টোল–পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।
এদিকে সওজের নির্বাহী প্রকৌশল শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ফেরিঘাটের সেবার মানোন্নয়নে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। নৌ–রুটে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সেবার মান অব্যাহত রাখার বিষয়ে তাদের সার্বক্ষণিক নজরদারি রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়দের দাবি, ফেরি–ব্যবস্থাপনা আরও আধুনিকায়ন করা গেলে এবং ডিজিটাল টিকিটিং ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলে যাত্রীভোগান্তি আরও কমে আসবে। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ–মুখী পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছেন।
ফেরি–রুটটি হাওর অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ায় এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিয়ে সকল পক্ষের আগ্রহ দিনদিন আরও বাড়ছে। প্রশাসন, টোল–ইজারাদার প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয়দের যৌথ প্রচেষ্টায় এই নৌ–রুট আরও সুবিধাজনক হবে—এমনটিই প্রত্যাশা স্থানীয় মানুষের।








