বছরের প্রথম সুপারমুন দেখা যাবে আজ


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, ৩রা জুলাই ২০২৩


বছরের প্রথম সুপারমুন দেখা যাবে আজ
ফাইল ছবি

চলতি বছরের প্রথম সুপারমুন দেখা যাবে আজ সোমবার (৩ জুলাই)।  সুপারমুন রাতের আকাশে অন্যান্য পূর্ণিমার চাঁদের চেয়ে অধিক উজ্জ্বল ও ৭ শতাংশ বড় দেখাবে।


এবারের পূর্ণিমায় চাঁদ অন্যান্য সময়ের চেয়ে পৃথিবীর অনেক বেশি কাছাকাছি আসবে। তাই একে ডাকা হচ্ছে সুপারমুন বলে। এটাই বছরের প্রথম সুপারমুন বলে আকাশপ্রেমীদের উৎসাহ তুঙ্গে। এদিন চাঁদকে তুলনামূলকভাবে বেশি বড় ও উজ্জ্বল দেখাবে। চাঁদ থাকবে পৃথিবী থেকে মাত্র ৩ লাখ ৬১ হাজার ৯৩৪ কিলোমিটার দূরত্বে।


জানা যায়, রাতের ‘বাক মুন’ বিশ্বজুড়ে দৃশ্যমান হবে। বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ এই দৃশ্য উপভোগ করবে। আজকের পরেও বেশ কয়েক রাত পূর্ণ এই চাঁদ দেখা যাবে। এদিকে, ৩ জুলাইয়ের পর ২০২৩ সালে আরও তিনটি সুপারমুন দেখা যাবে। তার একটি ১ আগস্ট, এরপর ৩০ আগস্ট এবং শেষ সুপারমুন দেখা যাবে ২৯ সেপ্টেম্বর।


আরও পড়ুন: ইমোতে এলো ঈদ স্পেশাল গেম


জুলাইয়ের সুপারমুনকে কেন ‘বাক মুন’ বলা হয়- 


দেশে দেশে পূর্ণিমার চাঁদের নামকরণের ঐতিহ্য রয়েছে। তেমনি নেটিভ আমেরিকান লোককাহিনীতেও উপজাতিরা চাঁদ চক্রগুলো পর্যবেক্ষণ করে এবং প্রাকৃতিক ঘটনার ওপর ভিত্তি করে চাঁদের নাম নির্ধারণ করে। এই নামগুলো কিছু নির্দিষ্ট সময়কে বোঝাতে, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বোঝাতে এবং কৃষি ও শিকারে সহায়তা করতে ব্যবহৃত হয়েছিল।


আরও পড়ুন: চলতি বছরই মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসাচ্ছেন ইলন মাস্ক


‘বাক মুন’ ধারণাটি নেটিভ আমেরিকান উপজতির ঐতিহ্যে থেকে এসেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়, উত্তর আমেরিকার উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে এই চাঁদের নামকরণ করা হয় বিশেষ প্রজাতির পুরুষ হরিণের নামে। এই হরিণ সাধারণত জুলাই মাসে তাদের বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায়ে পৌঁছায়। এ সময়টাতে এরা ‘ভেলভেট’ নামে পরিচিত- যা মূলত নরম চুলে আচ্ছাদিত কিছু বোঝায়।


নেটিভ আমেরিকান উপজাতিরা জীবিকা নির্বাহের জন্য শিকারের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ছিল। ‘বাক মুন’ দিয়ে তারা সেই সময়কে নির্দেশ করে- যা শিকারের মরসুম হিসেবে পরিচিত। এই সময়ে (জুলাই মাসে) ব্যাপকভাবে হরিণ শিকার করা যেত।


জেবি/এসবি