আমারও আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করেছে: সানি লিওন


Janobani

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২:৪৩ অপরাহ্ন, ১৩ই জানুয়ারী ২০২৪


আমারও আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করেছে: সানি লিওন
সানি লিওন | ফাইল ছবি

সানি লিওন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তার আবেদনময়ী লুকে যেন বুঁদ হয়ে থাকেন ভক্ত, সমর্থকরা। এবার সানি জানালেন, তারও নাকি আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করে নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।


বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন প্রযুক্তি যেন তারকাদের কাছে হুমকিস্বরূপ হয়ে দাড়িয়েছে। সুযোগ পেলেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকাকে নিয়েই তৈরি করা হচ্ছে পর্নো বা আপত্তিকর সব ভিডিও।


গত বছর ভারতের বেশ কয়েকজন অভিনেত্রীর ‘ডিপফেক’ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল সাইটে। এ তালিকায় রয়েছেন- দক্ষিণী অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা, ক্যাটরিনা কাইফ, কাজল প্রমুখ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে সানি লিওনের নামও।


আরও পড়ুন: খ্রিস্টান রীতি মেনে বিয়ে করলেন আমির কন্যা


ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে সানি জানান, এটি একটি হুমকিস্বরূপ। যা দীর্ঘসময় ধরে চলে আসছে। এটি কোনো সাম্প্রতিক ইস্যু নয়। সত্যি বলতে, আমাকে নিয়েও ডিপফেক (আপত্তিকর) ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই। কারণ বিষয়টি নিয়ে মানসিকভাবে প্রভাবিত হতে দিইনি নিজেকে।


তবে কম বয়সী অনেক মেয়ে আছে, যারা অহরহ এ সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু তারা বুঝতে চায় না, এতে তাদের কোনো প্রকার দোষ নেই, তাদের কোনো ভুলও নেই।


আরও পড়ুন: প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন অনন্যা পাণ্ডে


কম বয়সী নারীদের পরামর্শ দিয়ে সানি বলেন, কম বয়সী কোনো মেয়ের সাথে যদি এমন খারাপ কিছু ঘটে, তবে তারা যেন ভয় না পেয়ে সাইবার সেলে যোগাযোগ করে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি খুলে বলে যে, আপনার পরিচয় কিংবা ছবি ব্যবহার করা এসব ‘ডিপফেক’ (আপত্তিকর) ভিডিও তৈরি করা হয়েছে।


আর তখন এইসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। এছাড়া সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ জানালেও প্রযুক্তিগত সহায়তা পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে পুরো সিস্টেমটাই আপনার পক্ষে থাকবে, শুধু আপনাকে এতোটুকুই কাজ করতে হবে।


আরও পড়ুন: বাবা আমাকে গুলি করে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন: কঙ্গনা


ডিপফেক বা আপত্তিকর ভিডিও বিষয়ে ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইটগুলোর দাবি, এসব ভিডিও এআই প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পরিবর্তন করা হয়। এ ধরনের কিছু টুল ব্যবহার করে, অন্য কারও মুখ ভিডিওতে বসিয়ে নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় এবং অনেকেই এগুলোকে সত্যিকারের ভিডিও বলে মনে করেন। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে


এমএল/