পাবলিক ফিগাররা জনগণের বাবার সম্পত্তি: স্বস্তিকা মুখার্জি
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১:২১ অপরাহ্ন, ১৩ই জানুয়ারী ২০২৪
টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। ইন্ডাস্ট্রিতে ঠোঁটকাটা হিসেবেও বেশ পরিচিতি এ নায়িকা। কথা বলতে যেন কাউকেই পরোয়া করেন না এই তিনি। নানান বিষয়ে প্রায় সময়ই নিজের মতামত প্রকাশ করেন। আর এবার সংবাদ মাধ্যমের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা।
সুযোগ পেলেই যেন স্বস্তিকাকে নিয়ে চর্চা শুরু করেন নেটিজেনরা। যেন তাকে নিয়ে বিতর্কের কোনো শেষ নেই। বলা যায়, বিতর্কের অপর নাম হলো— স্বস্তিকা।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে খবরের কাগজে লেখা বেশ কয়েকটি শব্দ নিয়ে কথা বলেন এ অভিনেত্রী। এসময় রীতিমতো সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন স্বস্তিকা।
আরও পড়ুন: আমারও আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করেছে: সানি লিওন
এ সময় তিনি বলেন, আমি যদি গাজা (ফিলিস্তিন) বিষয়ে কথা বলি, সেটা নিয়েও খবরে কেউ লিখলেন— ‘গাজা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন স্বস্তিকা মুখার্জি’। আসলে এটা কি বিস্ফোরক? তবে বিস্ফোরণ তো সত্যি সত্যিই সেখানে হচ্ছে। নিজেদের সুবিধার জন্য পত্রিকার লোকজন ওইসব বিস্ফোরক, বিতর্ক শব্দগুলো খবরের সাথে জুড়ে দেয়। আমার বলা কথাগুলো খুবই সাধারণ। বিশ্বাস করুন, আমি অসাধারণ কোনো কথাই বলি না।
শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ থাকে ভক্তদের। আর তাই স্বাভাবিক কারণেই তারকাদের নিয়ে লেখালেখি হয় সংবাদ মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: ‘ম্যাডাম সেনগুপ্ত’ চরিত্রে ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ
এ বিষয়টি তুলে অভিনেত্রী বলেন, গণমাধ্যম কীভাবে বিষয়টিকে তুলে ধরছে সেটা ভেবে দেখাও বেশ জরুরি। সাধারণ জনগণের সামনে কোন খবরকে কীভাবে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের একটি বড় দায়িত্ব থাকে। আমি তো মনে করি, পাবলিক ফিগাররা হলো জনগণের বাবার সম্পত্তি। আমাদের নিয়ে যখন যা খুশি যা ইচ্ছা তাই বলা যায়।
আমি এটা অনেকদিন আগে থেকেই মেনে নিয়েছি। এটা নিয়ে আর কোনো মাথা ব্যথা নেই। চল্লিশের বেশি বয়স মানেই, অর্ধেক জীবন আপনি পার করে দিয়েছেন। মানুষ আমাকে নিয়ে কী বলল, কী লিখল তা নিয়ে যদি পড়ে থাকি তাহলে বাঁচব কীভাবে?
আরও পড়ুন: আমি সারা পৃথিবী চষে বেড়ানো মহিলা: মমতাজ
স্বস্তিকা আরও বলেন, আরেকটি বিষয় যেটা না বললেই নয়, পাবলিক ফিগার যদি কোনো ছেলে হয় আর সে দু্’বার বিয়ে করে তাহলে কারও মাথাব্যথা নেই। কিন্তু একটা মেয়ে যদি দুবার বিয়ে করে, আর সে যদি হয় পাবলিক ফিগার, তাহলে তো আর কোনো কথায় নেই, সমালোচনার যেন শেষই নেই তাকে নিয়ে। এটা আমাদের সমাজের নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। আমার এই জীবদ্দশায় এই নিয়ম পাল্টাবে বলে মনে হয় না। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
এমএল/