ইরাক-সিরিয়ায় কেন যুক্তরাষ্ট্রের হামলা


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০১:৩৩ অপরাহ্ন, ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২৪


ইরাক-সিরিয়ায় কেন যুক্তরাষ্ট্রের হামলা
ছবি: সংগৃহীত

ইরাক ও সিরিয়ার ভূখণ্ডে গতকাল শুক্রবার ৮৫টির বেশি লক্ষ্যে একযোগে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের ইসলামিক রেভিল্যুশনারি গার্ড কোর ও ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।


গত রবিবার সিরিয়ার সীমান্তের কাছে জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে শুক্রবারের হামলাকে দেখা হচ্ছে। সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ৩জন মার্কিন সেনা নিহত হন, আহত হন ৪১জন।


আরও পড়ুন: মুখে ‘জয় শ্রীরাম’, পায়ে হেঁটে রামমন্দির দর্শনে ৩৫০ মুসলিম ভক্ত


ওই হামলার জন্য ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করে আসছিল ওয়াশিংটন। এর প্রতিক্রিয়ায় সিরিয়া ও ইরাকে অবস্থিত ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানোর পরিকল্পনায় অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র।


এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জো বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকালের হামলা ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে প্রথম বহুমুখী প্রতিক্রিয়া। আগামী দিনগুলোয় এমন হামলা আরো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্ত, বহু হতাহতের আশঙ্কা


প্রায় ৪ মাস ধরে চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের জেরে মধ্যপ্রাচ্য আগে থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। এ ছাড়া ইরান সমর্থিত হুতিদের রুখতে ইয়েমেনে ইঙ্গ-মার্কিন হামলা চলছে। এর মধ্যে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ঘটনা ওই অঞ্চলকে দীর্ঘমেয়াদে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে, এমন আশঙ্কা করছে বিশ্লেষকরা।


গতকালের হামলার পর মার্কিন বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে ৭ স্থানে ৮৫টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে একযুগে হামলা চালানো হয়েছে। ইরাকে ৩টি ও সিরিয়ায় ৪টি স্থানে এসব হামলা চালানো হয়। এছাড়া লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে ছিল সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র, সামরিক রসদ ভান্ডার এবং ড্রোন স্টোরেজ ইউনিট।


এমএল/