প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখলো সিলেট স্ট্রাইকার্স


Janobani

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, ৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪


প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখলো সিলেট স্ট্রাইকার্স
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্স বাঁচা-মরার লড়াইয়ে খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি হয়েছিল। প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না মিঠুন-শান্তদের জন্য। অনেক নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে মিঠুনের দল।


শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেটে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে খুলনা। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এক ওভার বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে সিলেট।


আসরে টিকে থাকতে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৩ রানেই উইকেট হারায় চায়ের দেশের দলটি। ১৩ রান করে   সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সামিত প্যাটেল।


আরও পড়ুন: সাকিবের সাথে হাত মেলালেন না বন্ধু তামিম


এরপর খুব দ্রুতই প্যাভিলিয়নের পথে হাটেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান। এই দুই ব্যাটার ফেরার পর আইরিশ ব্যাটার হ্যারি টেক্টরকে সাথে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।


তবে এদিন কিছুটা আগ্রাসী ইঙ্গিত দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান মিঠুনও। এ ব্যাটার মার্ক দেয়ালের বলে আউট হওয়ার আগে খেলেন ২৪ রানের এক ইনিংস।


দলপতি ফিরলেও টেক্টর ঠিকই জয়ের আশা জিইয়ে রাখেন। নিজের ব্যাক্তিগত ফিফটি তুলে নিয়ে দলের জয়ের পথ আরও সহজ করেন আইরিশ এই ব্যাটার। ড্রেসিং রুমে ফেরার আগে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ বলে ৬১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।


আরও পড়ুন: ভালো শুরুর পরও মামুলি পুঁজি দুর্দান্ত ঢাকার


এরপর বাকি কাজটা সারেন ব্যাটার রায়ান বার্ল। তার ১৬ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ৬ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।


এর আগে, ইনিংসের প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৯ রানেই ধাক্কা খায় খুলনা। ১০ বলে ১২ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ওপেনার লুইস।


এরপর তিনে নেমে দলের হাল ধরেন ব্যাটার আফিফ হোসেন ধ্রুব। তবে দলীয় ৫০ পার হওয়ার পরই ফিরে  যান তিনিও। আউট হওয়ার আগে ৩ বাউন্ডারিতে ১৬ বলে খেলেন ২৪ রানের কার্যকরী এক ইনিংস।


আরও পড়ুন: সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে রংপুর পেল বড় জয়


এদিন চারে ব্যাট করতে নেমে ভালো করতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়ও। ৬ বলে ১ রানে টপ-অর্ডার এই ব্যাটার ফিরলে কিছুটা চাপে পড়ে খুলনার উপরে।


সেখানে একপ্রান্ত আগলে রেখে চাপ সামাল দেন অধিনায়ক বিজয়। দলপতির সাথে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন তরুণ সোহান।


সাবধানী ব্যাটিংয়ে দ্রুতই চলতি আসরের তৃতীয় অর্ধশতক তুলে নেন বিজয়। ব্যক্তিগত অর্ধশতক হাঁকালেও কিছুটা ধীরগতির ইনিংস সাজান তিনি।


আরও পড়ুন: ঢাকাকে ১৭৬ রানের টার্গেট দিল রংপুর


তবে খুলনার সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেন ব্যাটার সোহান। উইকেটে কিছুটা থিতু হয়েই বেনি হাওয়েলের এক ওভারে জোড়া ছক্কা হাঁকান হাবিবুর। তানজিমের করা পরের ওভারে আরও দুটি বাউন্ডারির মালিক বনে যান এই ব্যাটার।


শেষ পর্যন্ত এই দুই ব্যাটারের ৯৯ রানের জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করেন খুলনা টাইগার্স। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ বলে বিজয় করেন ৬৭ রান এবং ৩টি করে চার-ছক্কায় ৩০ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন ব্যাটার সোহান।


সিলেটের হয়ে সামিত প্যাটেল, সানজামুল ইসলাম ও বেনি হাওয়েল একটি করে উইকেট তুলে নেন।


এমএল/