‘মিরপুর স্টেডিয়ামের পঁচিশ হাজার টিকিট কোথায় গেল’


Janobani

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৭ অপরাহ্ন, ২৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪


‘মিরপুর স্টেডিয়ামের পঁচিশ হাজার টিকিট কোথায় গেল’
ফাইল ছবি

চলমান বিপিএলের শুরুর দিকে মাঠে দর্শকদের অভাব দেখা দিলেও বিগত কয়েক ম্যাচে সম্পূর্ণ গ্যালারিতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তাই ফাইনালকে কেন্দ্র করে দর্শকদের আগ্রহ আরও বহুগুণে বেড়েছে। ফাইনালের টিকিট পেতে সকাল থেকেই কাউন্টারের সামনে লাইন দিয়েছিল দর্শক-সমর্থকরা। এদিন হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে অনেক টিকেট প্রত্যাশীকেই।


শুক্রবার (১ মার্চ) বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল-কুমিল্লার লড়াই মাঠে বসে উপভোগের জন্য সকাল থেকেই টিকিট কাউন্টারে ভিড় জমাতে শুরু করেন দর্শকেরা। সময় পেরোতেই এই লাইন দীর্ঘ হতে থাকে। বিসিবির নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সকাল ৯.৩০ মিনিটে টিকিট বিক্রি শুরু করার কথা থাকলেও দুপুর নাগাদ টিকিট কাউন্টারে বিসিবির কোনো কর্মকর্তাদের দেখা যায়নি।


আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অবসর নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য মুশফিকের


এতে করে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে টিকিট প্রত্যাশীরা। একপর্যায়ে টিকিট কাউন্টার ছেড়ে মিরপুর স্টেডিয়ামের এক নম্বর গেটের সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখে ক্রিকেটপ্রেমীরা। রাস্তা থেকে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ বাহিনী। তবে তাদের ওপর চড়াও হয় টিকিট না পাওয়া এসব দর্শকরা।


এরপর কয়েক ঘণ্টা পার হলেও টিকিট কিনতে পারছিল না আগত দর্শকেরা। বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেটকে এতটাই ভালোবাসে তারা টিকিট না নিয়ে বাড়ি ফিরবে না এমন সব পণ করতে থাকে।


দুপুর ২টার দিকে টিকিট বিক্রেতারা আসলে তাদের দিকে জুতা ছুড়ে মারতে থাকে ভোর থেকে টিকিটের অপেক্ষায় থাকা তামিম-লিটনের দর্শকরা। তবুও নির্ধারিত টিকিট পাচ্ছিল না তারা। এ সময় তীব্র গরমে কয়েকজন মানুষ ভিড়ের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।


আরও পড়ুন: শামীমের ব্যাটে ভর করে রংপুরের লড়াকু সংগ্রহ


তবে হাজারো দর্শকদের মনে একটায় প্রশ্ন মিরপুরের ২৫ হাজার টিকিট গেল কোথায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, আমরা জানতে চায় ২৫ হাজার টিকিট গেল কোথায়। ধরে নিলাম ৫ হাজার টিকিট ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা পেল। আরও বাকি থাকে ২০ হাজার টিকিট সেটা গেল কোথায়।


এদিন কাউন্টারের টিকিটের জন্য অপেক্ষা করলেও কালোবাজারির সাথে জড়িতদের কাছে আগের রাতেই টিকিট পৌঁছে গেছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।  এক দর্শক বলেন, আমাকে ৩০০ টাকার টিকিট একজন ১ হাজার টাকার বিনিময়ে দিতে চাচ্ছিল আমি তাকে না করে দিয়েছি।


টিকিট কালোবাজারি জন্য বারবারই বিসিবির ওপর আঙুল তুলে আসছে দেশের সাধারণ দর্শকরা। কারণ, কাউন্টারে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থেকে কোনো টিকিট না মিললেও ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে কালোবাজারিতে ঠিকই এসব টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু গুণতে হয় বেশকিছু বাড়তি টাকা। বিসিবি এখনও পর্যন্ত এই সমস্যার কোনো প্রকার সুষ্ঠু সমাধান করতে পারেনি।


আরও পড়ুন: ক্রিকেট খেলাটা চেহারা দেখে হয় না: বাবুল


এর আগে প্লে-অফের প্রথম দিনে স্টেডিয়ামে নির্ধারিত আসনের থেকেও বাড়তি দর্শকদের মাঠে আসতে দেখা যায়। আবার অনলাইনে টিকিট কেটেও খেলা দেখতে পারেনি দর্শকেরা। তাদের অভিযোগ , আমরা সবাই অনলাইনে টিকিট কেটেছি, কিন্তু কাউন্টারে টিকিট নিতে আসলে টিকিট দিচ্ছে না। সেজন্যই আমরা টিকিট কেটেও মোবাইলে নেট ঢুকিয়ে খেলা দেখছি।


এমএল/