রকিবকে ফিরে পেতে চান না মাহিয়া মাহি


Janobani

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:১১ অপরাহ্ন, ৩রা মার্চ ২০২৪


রকিবকে ফিরে পেতে চান না মাহিয়া মাহি
ফাইল ছবি

ঢাকাই ছবির আলোচিত অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি স্বামী রকিব সরকারের সাথে কিছুদিন আগেই বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে এ জুটি আলাদাই থাকছেন। আর খুব শিগগিরই তারা বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতাও সারবেন বলে জানিয়েছেন এই নায়িকা।


সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্বামী রকিব জানান, গত বছরের জুন থেকেই তারা আলাদা বসবাস করছেন। আর তিনি এই সংসার টিকিয়ে রাখার অনেক চেষ্টাও করেছেন।


আরও পড়ুন: ভুল-ক্রটির জন্য ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী নিপুণ


এর মাঝেই এ অভিনেত্রীর ইঙ্গিত- স্বামী রকিবকে আর ফিরে পেতে চান না তিনি। রবিবার (৩ মার্চ) মাহি তার সামাজিক মাধ্যমে ভালোবাসা দিবসের পুরোনো একটি রিল শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা গেছে, সাগরপাড়ে মোটরসাইকেলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এ জুটি। রোমান্টিক সেই সিনের ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বাই’ ছবির ‘তুম জো আয়ে জিন্দেগি ম্যায়’ এই গানটি।


পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের মাঝে সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে। আমি তোমাকে আর ফিরে পেতে চাই না। যদিও এই ভালোবাসা আমাদের ইতিহাসের অংশ হয়েই থাকবে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তা শুধু স্মৃতি হিসেবেই থেকে যাবে।’


এদিকে বিচ্ছেদের বিষয়ে রকিব সরকার বলেছেন, ‘মাহির পক্ষ থেকে যেমন সিদ্ধান্ত এসেছে, তা এখন ৯৯ শতাংশই বিচ্ছেদের পথে। শুধু এক ভাগ নিয়েই আমি আশাবাদী। সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি, সংসারটা টিকিয়ে রাখার। কেননা আমি মাহিকে বিয়ে করেছিলাম পরিবারের অমতে গিয়ে। নানা বাধা থাকা সত্ত্বেও তাকে ভালোবেসে বিবাহ করেছি।’


আরও পড়ুন: যেখানে সম্মান নেই, সেখানে কখনো যেতে নেই: পরীমণি


উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিওবার্তায় স্বামী রকিব সরকারের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা জানান অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। আর ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের ব্যবসায়ী রকিব সরকারের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে ছিল এটি। এ জুটির সংসারে ফারিশ নামের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। অন্যদিকে, রকিবের প্রথম সংসারেও দুই সন্তান রয়েছে। সেই সন্তানের নাম সোয়াইব ও সাইয়ারা।


এর আগে, ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। বিয়ের পাঁচ বছরের মাথায় ২০২১ সালের ২২ মে সেই সংসারেও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।


এমএল/