ট্রাম্পের বাড়তি শুল্কে ভারতের বাজারে ধস, রপ্তানিতে বড় ক্ষতির শঙ্কা


Janobani

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০২:৪০ পিএম, ২৮শে আগস্ট ২০২৫


ট্রাম্পের বাড়তি শুল্কে ভারতের বাজারে ধস, রপ্তানিতে বড় ক্ষতির শঙ্কা
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের অর্থনীতিতে নতুন করে চাপ তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের রাশিয়া থেকে তেল আমদানির কারণে দেশটির রপ্তানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এর ফলে মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে।


বুধবার থেকে কার্যকর হওয়া এ সিদ্ধান্তের প্রভাব বৃহস্পতিবার সকালেই পড়ে শেয়ারবাজারে। লেনদেন শুরু হতেই সেনসেক্স সূচক কমে যায় ৫০৮ পয়েন্ট এবং নিফটি সূচক পড়ে যায় ১৫৭ পয়েন্ট। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।


আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম এইডস টিকা তৈরি করছে রাশিয়া


সেনসেক্সভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারে বড় ধস নামে। বিশেষ করে এইচসিএল টেক, এইচডিএফসি ব্যাংক, পাওয়ার গ্রিড, সান ফার্মা ও এনটিপিসি শেয়ারের দাম হু হু করে কমে যায়। তবে এশিয়ান পেইন্টস, মারুতি, টাইটান ও লার্সেন অ্যান্ড টুবরোর মতো কিছু কোম্পানি সামান্য লাভ ধরে রাখতে সক্ষম হয়। তবুও বাজারের সামগ্রিক প্রবণতা ছিল নেতিবাচক।


বাজার বিশ্লেষকদের মতে, উচ্চ শুল্ক ভারতের রপ্তানি খাতের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষত টেক্সটাইল, চামড়া, গয়না ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে। শুধু চলতি অর্থবছরেই প্রায় ৩৭ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত ৪৭ সন্ত্রাসী


তবে দেশীয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তার কারণে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল থাকে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করলেও স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা বিপরীতে বড় অঙ্কে শেয়ার কিনেছেন।


সরকার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজা হচ্ছে। পাশাপাশি আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও ইউরোপের মতো নতুন বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রপ্তানিকারকদের জন্য আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: গাজার পাশাপাশি সিরিয়ায়ও আগ্রাসন, ভয়াবহ হামলা চালাল ইসরায়েল!


তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, শুধু কূটনৈতিক সমাধান নয়, রপ্তানি খাতকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে হবে। দেশীয় উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনা এবং আঞ্চলিক বাজার সম্প্রসারণই দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হতে পারে। তারা সতর্ক করেছেন, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক চাপের কারণে ভারতীয় বাজারে অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে।


এএস