আবেগঘন পোস্টে যা লিখলেন ঋতুপর্ণা

অভিনয়ের পাশাপাশি সংসার ও মাতৃত্ব—সবকিছু একসঙ্গে সামলে চলছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। রুপালি পর্দায় সফলতার পাশাপাশি বাস্তব জীবনেও তিনি উদাহরণ হয়ে উঠেছেন।
বিজ্ঞাপন
গত সোমবার (৬ অক্টোবর) স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তীর জন্মদিনে আবেগঘন বার্তা দিয়ে আলোচনায় আসেন এই অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: নতুন দুই সিনেমায় শাকিব খান
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বামীর সঙ্গে একাধিক সুন্দর মুহূর্তের ছবি শেয়ার করে ঋতুপর্ণা লেখেন, জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে সঙ্গী হিসেবে সঞ্জয়ই তার সবচেয়ে বড় প্রেরণা।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু অনেকের অজানা, কীভাবে শুরু হয়েছিল এই দীর্ঘ ২৬ বছরের ভালোবাসার গল্প?
ছোটবেলা থেকেই একে অপরের পরিচিত ঋতুপর্ণা ও সঞ্জয়। দীর্ঘদিনের সেই বন্ধুত্বই মোড় নেয় ভালোবাসায়, আর পরিণতি পায় ১৯৯৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর। সেই থেকে তাদের পথচলার বয়স পেরিয়ে গেল ২৬ বছর।
ঋতুপর্ণা নিজেই একাধিক সাক্ষাৎকারে ফাঁস করেছেন তাদের এই মিষ্টি প্রেমের গল্প। অভিনেত্রীর কথায়, ‘তখন আমি সপ্তম শ্রেণির। ও ক্লাস টেনে পড়ে। তখন থেকে আমাদের বাড়িতে যাওয়া-আসা। বরাবরের গুরুগম্ভীর, পড়াশোনায় ভালো পরে বিদেশে পড়তে গেল।’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবার একটাই চাওয়া, ছেলেকে শিক্ষিত হতে হবে। মায়ের দাবি, ছেলে ভালো পরিবারের হওয়া যাই। সঞ্জয় তাই যখন বাড়িতে এসে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল মা-বাবা দ্বিতীয় বার ভাবেনি।’
বর্তমানে সঞ্জয় চক্রবর্তী মোবিঅ্যাপস নামে একটি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। কাজের সূত্রে তিনি মূলত সিঙ্গাপুরে থাকেন। এমনকি ঋতুপর্ণার দুই সন্তান ছেলে অঙ্কন ও মেয়ে নিয়ার জন্ম ও পড়াশোনাও হয়েছে সেখানেই। তাই ঋতুপর্ণাকে কলকাতা ও সিঙ্গাপুরে মিলিয়ে মিশিয়ে থাকতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ১২ টা বিয়ে করার ইচ্ছা পরীমণির!
বিজ্ঞাপন
মাঝেসাঝেই ঋতুপর্ণার ছবির প্রিমিয়ার বা সাকসেস পার্টিতে স্বামীর সঙ্গে দেখা যায় এই টলি-সুন্দরীকে। কখনো কখনো দুই সন্তান অঙ্কন ও নিয়াও পাশে থাকেন তাদের। কাজের ফাঁকে পরিবারকে সময় দেওয়া এবং একইসঙ্গে ক্যারিয়ার সামলানোয় ঋতুপর্ণা যে এক উদাহরণ, তা বলাই বাহুল্য।