রিপন মিয়াকে নিয়ে সত্য ফাঁস করলেন তার স্ত্রী

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন কাঠমিস্ত্রি থেকে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পাওয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া। ২০১৬ সাল থেকে ফেসবুকে বিনোদনমূলক ভিডিও তৈরি করে জনপ্রিয়তা পাওয়া এই মুখকে ঘিরে সম্প্রতি তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলা হয়—যেখানে বলা হয়, রিপন মিয়া মা-বাবার খোঁজ রাখেন না এবং স্ত্রী-সন্তানদের অস্বীকার করেন। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। এরপর ঢাকায় হাজির হন রিপন মিয়া। সঙ্গে ছিলেন তার মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান।
রিপন মিয়ার সঙ্গে কেমন আছেন প্রশ্নের জবাবে তার স্ত্রী চম্পা বলেন, আমি রিপন মিয়ারব সঙ্গে সুখেই আছি। মানুষ কী কয় কউক না কউক, আমি হেইসব কথা কানে নেই না। আমি সুখে আছি। আমাদের মধ্যে কোনো ভেজাল নেই, ঝামেলা নেই। রিপন মিয়া আমাকে অনেক ভালোবাসে, আমিও তাকে অনেক ভালোবাসি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তানকে অস্বীকার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, দেড় বছর আগে ভাইসাবের ভিডিওতে আমি বিয়া ও বউ নিয়ে কথা কইছিলাম। কিন্তু ওই সাংবাদিকরা যখন বারবার একই প্রশ্ন করে যাচ্ছিলেন, তখন আমি তেড়ামি করে বলছিলাম, ‘আমি বিয়া করিনি।’ কে জানত, এটা এমন ঝড় তুলবে!
এদিকে রিপন মিয়ার স্ত্রীও রিপনের সঙ্গে সুর মেলালেন। বললেন, অনুমতি ছাড়াই সাংবাদিক জোর করে করে তাঁর ঘরে ঢুকে যায়। এরপর উলটাপালটা প্রশ্ন করে। তবে সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই রিপন মিয়ার স্ত্রীর বক্তব্যকে শেখানো বক্তব্য বলে মন্তব্য করছেন।
রিপনের মা ফাতেমা বেগমও জানালেন, প্রতিবেশীদের প্ররোচনাতেই ভুল-বোঝাবুঝির সূত্রপাত। তার ভাষায়, অনেকে কয়, তোমার ছেলে লাখ লাখ টাকা কামায়, তোমারে কী দিছে। আমি ভাবছিলাম সাংবাদিকরা আইছে আমাদের সাহায্য করতে। বুঝি নাই, তারা উল্টো আমাদের বিপদে ফেলবে। লোভে পড়ে আমার ছেলেরে কষ্ট দিছি।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, রিপন একা নন, তার অন্য ছেলেরাও মা-বাবার খোঁজখবর রাখেন। ‘আমরা গরিব মানুষ, হের (রিপন) বাপ কাজ করতে পারে না। তিন ছেলে না দেখলে আমরা চলব কেমনে?’ বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে প্রচারিত ওই প্রতিবেদনে রিপনের মায়ের বক্তব্য তুলে ধরা হয়—যেখানে তিনি বলেছিলেন, “আমরা গরিব, তাই হয়তো ও এখন পরিচয় দিতে চায় না।” ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিজ্ঞাপন