আরও ২ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিলো হামাস

দেহাবশেষ হস্তান্তর করে হামাস দাবি করেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তানুযায়ী তারা তাদের নাগালের মধ্যে থাকা নিহত সকল বন্দির দেহ ফিরিয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: আবারও বিক্ষোভের আগুন ভারতের আসামে, ঘটনা কী?

দেহাবশেষ ইসরায়োল পৌঁছে পর ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য তেল আবিবের আবু কবির ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে নেয়া হলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেগুলো অন্বর হাইমান (২৭) ও মুহাম্মদ আল-আত্রাশ (৩৯) হিসেবে শনাক্ত করা হয়। পরে আইডিএফ তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

আইডিএফ জানিয়েছে, ইনবার হাইমান ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর রে’ইম-এর কাছে নোভা সঙ্গীত উৎসবে হামাসের হামলায় নিহত হন এবং তার দেহ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।  অন্যদিকে মুহাম্মদ আল-আত্রাশ গাজা ডিভিশনের নর্দার্ন ব্রিগেডে ট্র্যাকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাকেও ৭ অক্টোবর নাখাল ওজের কাছে হামাস সন্ত্রাসীদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত অবস্থায় গাজায় অপহরণ করা হয়েছিল। 

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে হতাহতদের পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেছে, সরকার নিহত বন্দিদের মরদেহ নিজ মাতৃভূমিতে যথাযথভাবে ফিরিয়ে এনে দাফন নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

অন্যদিকে, হামাসের সামরিক শাখা দাবি করেছে যে চুক্তি অনুযায়ী তারা জীবিত সকল বন্দিকে ফিরিয়ে দিয়েছে এবং নাগালের মধ্যে থাকা সকল মরদেহেরও হস্তান্তর করেছে। তবে তারা জানিয়েছে, বাকি মরদেহ খুঁজে বের করতে বিশেষ সরঞ্জাম ও দীর্ঘ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে বাংলাদেশিদের জন্য ইটিএ বাধ্যতামূলক

আইডিএফের প্রতি তীব্র সুরে সতর্ক করেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। তিনি বুধবার বলেন, হামাস যদি যুদ্ধবিরতি চুক্তি না মেনে চলে তবে সামরিক বাহিনীকে হামাসকে “চূর্ণ” করার পরিকল্পনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাৎজের দপ্তর জানায়, চুক্তি ভঙ্গ হলে যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু করবে এবং হামাসকে পরাজিত করার লক্ষ্য নেবে।