যুদ্ধবিরতি হলেও গাজাজুড়ে মৃত্যুফাঁদ, চারপাশে ছড়িয়ে হাজারো বোমা!

প্রায় দুই বছরের বিধ্বংসী আগ্রাসনের পর অবশেষে ফিলিস্তিনের গাজায় চলছে যুদ্ধবিরতি। গোলাগুলির শব্দ আপাতত থেমে গেলেও শান্তি ফেরেনি ধ্বংসস্তূপে পরিণত এই ভূখণ্ডে। চারদিকে ছড়িয়ে আছে অবিস্ফোরিত বোমা, ধসে পড়া ভবন, আর খাদ্য-ওষুধের তীব্র সংকট।
বিজ্ঞাপন
গাজার মানুষ এখন বেঁচে থাকার চেয়েও বড় লড়াই লড়ছে পুনর্গঠনের জন্য। কিন্তু ইসরায়েলি অবরোধের কারণে ভারী যন্ত্রপাতি বা নির্মাণসামগ্রী সীমান্ত পেরোতে পারছে না। ফলে পুনর্গঠন কার্যক্রম কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।
গাজা সিটির মেয়র ইয়াহিয়া আল-সররাজ জানিয়েছেন, পানি সরবরাহ ও সড়ক মেরামতে অন্তত ২৫০টি ভারী যন্ত্র এবং হাজার টন সিমেন্টের প্রয়োজন। কিন্তু এত বড় চাহিদার বিপরীতে সীমান্ত দিয়ে ঢুকেছে মাত্র ছয়টি ট্রাক।
বিজ্ঞাপন
আল জাজিরার প্রতিবেদক হিন্দ খুদারি জানান, এখনও প্রায় নয় হাজার ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। অথচ নতুন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে মূলত ইসরায়েলি বন্দিদের মরদেহ উদ্ধারে, ফিলিস্তিনিদের জন্য নয়।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, গাজায় কোন বিদেশি সংস্থা বা বাহিনী কাজ করবে, সেটি নির্ধারণের ক্ষমতা শুধুমাত্র ইসরায়েলের।
গাজার আকাশে নীরবতা থাকলেও মাটির নিচে লুকিয়ে আছে আরও বড় বিপদ— বিস্ফোরিত না হওয়া বোমা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা হালো ট্রাস্ট জানিয়েছে, গাজার প্রায় প্রতিটি এলাকায় এমন বোমা রয়ে গেছে, যা যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, “গাজায় অন্তত দুই লাখ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল; এর মধ্যে প্রায় সত্তর হাজার টন এখনও নিষ্ক্রিয় অবস্থায় পড়ে আছে। এই বোমাগুলোই এখন গাজার মানুষের সবচেয়ে বড় মৃত্যুফাঁদ।”
গাজার মানুষ তাই এখন যুদ্ধ নয়, বোমার ছায়া থেকে বাঁচার যুদ্ধ লড়ছে।








