দুর্নীতিবিরোধী টানা আন্দোলনের চাপে বুলগেরিয়া সরকারের পতন

বহুদিনের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন বুলগেরিয়ার রাজনীতিকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। কয়েক দিন ধরে দেশজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ চলার পর শেষ পর্যন্ত পদত্যাগের ঘোষণা দিলো প্রধানমন্ত্রী রোসেন ঝেলিয়াজকভের নেতৃত্বাধীন সরকার। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সামনে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, তার মন্ত্রিসভা সরে দাঁড়াচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, দুর্নীতি দমন করতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে—এ অভিযোগ তুলে বুলগেরিয়ার বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ টানা আন্দোলনে যোগ দেন। প্রথমে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন হলেও অল্প সময়েই তা পুরোপুরি সরকারবিরোধী রূপ নেয়।
রাজধানী সোফিয়া, কৃষ্ণসাগর উপকূলীয় শহরগুলোসহ দেশজুড়ে কয়েকদিন ধরে উত্তাল বিক্ষোভ চলেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে দরিদ্র সদস্য দেশটিতে জনগণের ক্ষোভ বাড়তে বাড়তে শেষ পর্যন্ত সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
বিজ্ঞাপন
রক্ষণশীল ঝেলিয়াজকভ সরকারের বয়স এক বছরেরও কম। তবু ক্রমাগত রাজনৈতিক অস্থিরতা ও রাস্তায় জনরোষের মুখে ক্ষমতাসীন জোটের বৈঠকের পর তিনি ঘোষণা দেন, “সরকার আজই পদত্যাগ করছে।”
গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো ২০২৬ সালের ইউরোভিত্তিক বাজেট পরিকল্পনা প্রকাশ করে সরকার। সামাজিক সুরক্ষা খাতে বাড়তি অবদান এবং লভ্যাংশের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করে মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। তীব্র প্রতিবাদের মুখে সরকার পরিকল্পনাটি প্রত্যাহার করলেও আন্দোলন থামেনি।
বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, বাজেট সংস্কার মূলত সাধারণ মানুষের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে। এ কারণে ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
বুলগেরিয়ায় গত চার বছরে সাতবার জাতীয় নির্বাচন হয়েছে, তবু রাজনৈতিক অস্থিরতা কমেনি। সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের অক্টোবরে। এবার সরকারের পতন নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করল।
দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া আইটি পেশাজীবী অ্যাঞ্জেলিন বাহচেভানোভ বলেন, বুলগেরিয়াকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর সময় এসেছে। আমাদের দেশকে অলিগার্কি, মাফিয়া ও তাদের প্রভাব থেকে মুক্ত করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
—সূত্র: এএফপি








